সবার জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ
জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা করোনা মহামারী মোকাবেলায় রাষ্ট্রসমূহের দায়িত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। অন্যদের মধ্যে চীন ও রাশিয়া সমর্থিত এই প্রস্তাবটি সমালোচনার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও গৃহীত হয়েছে।
সর্বসম্মতভাবে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবে ‘মহামারী এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরী ব্যাপারে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।’ খবর বিবিসি ও এএফপির।
গত বছরের শেষের দিকে চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ লোকের মৃত্যু এবং ১ কোটি ৩৫ লাখের বেশি লোক আক্রান্ত হওয়ার পর আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্কটের মধ্যে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। এই প্রস্তাবে টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের ওপর প্রভাব তুলে ধরে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় রাষ্ট্রের যে কোন জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার আইনের বাধ্যবাধকতা অবশ্যই মেনে চলা উচিত বলে গুরুত্বারোপ করা হয়।
গৃহীত প্রস্তাবে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনের ‘ন্যায়সঙ্গত ও নির্বিঘ্নে প্রাপ্তি’ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যে কোন ভ্যাকসিন উদ্ভাবন ‘বিশ্বের জনগণের জন্য’ বলে বিবেচিত হবে।
করোনা মোকাবেলায় রেকর্ড পরিমাণ সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের ॥ করোনা মহামারী মোকাবেলায় তহবিল গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ১ হাজার ৩০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ। এটি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় তহবিল গঠনের আহ্বান। নিম্ন আয় ও নাজুক অর্থনীতির দেশে এ অর্থ খরচ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।