সব ধরনের কোটা সুবিধা তুলে নেয়া হতে পারে!
ই-বার্তা।। কোটা সুবিধা তুলে নেওয়া হলে পরিস্থিতি কিরকম হতে পারে প্রধানমন্ত্রী তা জানতে চেয়েছেন বলে তার কার্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কোটা সংস্কারের আন্দোলন অব্যাহত থাকার কারণে সরকারের মধ্যে এ ধরণের চিন্তা ভাবনা করতে হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সব ধরনের কোটা সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে আভাস পাওয়া গেছে।
এদিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সংসদে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে ঘোষণা দেবেন।’
কোটা ইস্যু নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসকে আস্থায় নিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করা যেত।
কোটা সংস্কারের আব্যশকতা রয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, আন্দোলকারীদের দাবি নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলে নিয়েছেন। এ কারণেই বিষয়টি বিবেচনার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে আন্দোলনকারীদের সরকার প্রধানের আশ্বাসের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল। বিষয়টি সুরাহা না হলে আবার আন্দোলনে যাওয়ারও সুযোগ ছিল।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। বুধবার দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও টিএসটির দিকে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এদিকে কোটা সুবিধা পুরোপুরি তুলে নেওয়া ঠিক হবে না উল্লেখ করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির জানান, ‘কোটা প্রত্যেক রাষ্ট্রে আছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির মধ্যে সাম্য-সমতা এসব ফিরিয়ে আনতে সাংবিধানিকভাবে কোটা সুবিধা স্বীকৃত।
কোটা সুবিধা মোটেও অগণতান্ত্রিক নয়। সংবিধানেই আছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে আনতে সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রাষ্ট্র বাধা দিতে পারবে না। কোটা সুবিধা রাখতেই হবে। তবে কোটা সুবিধার অপব্যবহার যাতে না হয় সেজন্যে সংস্কার করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘কোটা সুবিধা বন্ধ করার চিন্তা মোটেও সঠিক চিন্তা হবে না। কোটা সুবিধা সংস্কার হতে পারে।’