সভাস্থলেই বিজেপি নেতাকে জুতাপেটা
ই-বার্তা ডেস্ক।। ভারতের উত্তরপ্রদেশের শাসকদল বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে জুতা পেটা এবং পাল্টা কিল ঘুষির ঘটনা ঘটেছে। একজন সন্ত কবীর নগরের বিজেপি এমপি শারদ ত্রিপাঠি এবং অপরজন করিমনগরের বিধায়ক রাকেশ সিং বাঘেল। সরকারি বৈঠকে পুলিশ অফিসারদের সামনেই তুমুল মারামারি।
ঘটনার সূত্রপাত স্থানীয় রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে কেন্দ্র করে। সন্ত কবীর নগরের জেলা সমন্বয় কমিটির বৈঠকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রসঙ্গটি ওঠে। কয়েক দিন আগেই ওই এলাকায় একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
জানা যায়, সেই শিলান্যাসের ফলকে বিধায়ক রাকেশ বাঘেলের নাম থাকলেও এমপি রাকেশ ত্রিপাঠির নাম রাখা হয়নি। আর সেই কারণেই বেজায় চটেছিলেন বিজেপির এমপি। বৈঠকে তিনি সরাসরি বিধায়ককে প্রশ্ন করেন, কেন ভিত্তিপ্রস্তরে তার নাম রাখা হয়নি? উত্তরে বিধায়ক বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে আমার সিদ্ধান্ত। এলাকার উন্নয়নের দায়দায়িত্ব যখন আমার, তখন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে কার নাম থাকবে সেটাও দেখার দায়িত্ব আমার। এই উত্তর পছন্দ হয়নি এমপি রাকেশ ত্রিপাঠির। প্রবল উত্তেজিত হয়ে তিনি চিৎকার করে বলেন, ওই ফলকে তার নাম ঢোকাতে হবে। বিধায়কও স্পষ্ট জানান, নাম ফলক ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। কাজেই বদল করা অসম্ভব।
এই শুনেই সভাতেই জুতা খুলে পেটাতে শুরু করেন বিধায়ককে। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হকচকিয়ে জুতোর বাড়ি খেয়েও যান বাঘেল। বিষয়টা কতদূর গড়িয়েছে বুঝেই চেয়ার ছেড়ে উঠে পাল্টা হাত চালান। এই হাতাহাতির সঙ্গে অশ্লীল গালিগালাজও চলছিল সমানতালে। দুই বিজেপি নেতার মারামারি থামাতে ছুটে আসেন উপস্থিত পুলিসকর্তারা।
ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই মন্তব্য করেন, দু’জন শীর্ষস্তরের নেতার এই আচরণ বরদাস্ত করা উচিত নয়।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু