সম্রাট গ্রেফতার হলেও তার সাম্রাজ্যে এখনও চাঁদা তোলা হচ্ছে
ই-বার্তা ডেস্ক।। গুলিস্তান ও কাপ্তানবাজার এলাকার বাসস্ট্যান্ড, লেগুনাস্ট্যান্ড ও ফুটপাতে চাঁদাবাজির একক নিয়ন্ত্রণ ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের। তার পরও তাঁর সাম্রাজ্যে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। আগের মতোই প্রতিদিন চাঁদা তোলা হচ্ছে।
এদিকে গেণ্ডারিয়া থানা শাখা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পরপরই দেশের বাইরে পালিয়ে যান। আর তাঁর ভাই একই এলাকার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াকে এলাকায়ই দেখেছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন।
গত বুধবার দুপুরে সরেজমিন কাপ্তানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক লাইনম্যান লেগুনার নম্বর লিখে রেখে চালকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। তাঁর তালিকায় তখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টি লেগুনার নম্বর দেখা গেছে। ওই লাইনম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি তাতে রাজি হননি।
লেগুনাচালকরা বলেছেন, লাইনম্যানের নাম রিপন। সম্রাট গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এই এলাকায় যারা চাঁদাবাজি করত, তারা এখনো করছে।
এক লেগুনাচালক জানান, রিপন তাঁর কাছ থেকে ৬০০ টাকা নিয়েছেন। এই টাকা না দিলে তাঁর লেগুনাই চালানো বন্ধ করে দেবে। আরেক লেগুনাচালক দুঃখ করে বলেন, ‘ভাবছিলাম দ্যাশে যা শুরু হইছে আর মনে অয় চান্দা দেওন লাগবো না। কিন্তু কিসের কী? প্রতিদিনই তো চান্দা দিচ্ছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা নেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন। কাপ্তানবাজার এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা চাঁদা তোলেন। চাঁদাবাজির এই টাকা যেত সম্রাটের পকেটে।
চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ নেই। কোনো লেগুনাচালক অভিযোগ করতে আসে না।’ তালিকা করে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে গোপনে কাউকে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে বলুন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন হবে।’
গত রবিবার ভোরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সভাপতি সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু