সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ঘাঁটি নির্মাণ শুরু করেছে তুরস্ক
ই- বার্তা ডেস্ক।। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হাসাকা প্রদেশে একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে তুর্কি সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি সিরিয়ার ওই অঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। গত ৯ অক্টোবর শুরু হওয়া সেই অভিযানের একমাস পর এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন তুর্কি সেখানে ঘাঁটি নির্মাণের পদক্ষেপ নিল।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সানা’র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসাকা প্রদেশের আল-আইন শহরের দক্ষিণ পাশে আল-হাওয়াস এলাকায় ঘাঁটি নির্মাণ করছে তুরস্ক। ঘাঁটি নির্মাণের আগে তুর্কি সেনা এবং তাদের সিরিয়ান মিত্র গেরিলারা সেখানে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে এলাকাটির দখল নেয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস মঙ্গলবার জানিয়েছে, তুরস্কের সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বেসামরিক লোকজন বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ওপর তুর্কি সেনারা গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তুর্কি সেনাদের ওই হামলায় দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। তবে গুলির ভয় উপেক্ষা করেই সিরিয়ার ওই অঞ্চলের মানুষ তুর্কি সেনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। তাদের উপর পাথর ও জুতোও ছুঁড়ে মারে তারা।
এদিকে, তুরস্ক সীমান্তে সিরিয়ার সরকারি সেনা মোতায়েন এবং তাদের অবস্থান জোরদার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাসার আল আসাদ নেতৃত্বধীন দামেস্ক সরকার। তুরস্ক যাতে আর সিরিয়ার ভেতরে কোনো রকমের আগ্রাসন চালাতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা বলে দাবি তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরপরই তুরস্ক সিরিয়ায় ঢুকে সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে কুর্দি যোদ্ধাসহ গত এক মাসে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এমন ঘোষণার মাধ্যমে সিরিয়ায় অভিযান চালাতে তুর্কিদের সবুজ সংকেত দেয়া হয়।