সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মস্কো যাচ্ছেন এঞ্জেলা মেরকেল
ই-বার্তা ডেস্ক।। ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে শনিবার (১১ জানুয়ারি) মস্কো যাচ্ছেন জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মেরকেল। বৈঠকটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সেটি জানানো হয়নি। তবে বৈঠকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাসও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে তারা বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টিফেন সিবার্ট বলেন, জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনে অপরিহার্য।
আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্কট ছাড়াও সিরিয়া ও লিবিয়ার সংঘাত, যেখানে তুরস্ক সবেমাত্র সেনা মোতায়েন শুরু করেছে তাও আলোচ্যসূচিতে থাকবে। রাশিয়া বলেছে যে তারা এই অঞ্চলে জার্মানির শান্তি উদ্যোগকে সমর্থন করবে। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আমাদের সব স্বার্থের জন্য হুমকি ছিলেন ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। কাজেই তিনি নিহত হওয়ায় আমরা শোকাহত না। তবে সব পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন লন্ডনের এই সাবেক মেয়র। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে কাসেম সোলাইমানি মার্কিন গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার পর রোববার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। ক্যারিবীয় দ্বীপে অবসর যাপন থেকে ফিরে বরিস জনসন বলেন, ইরাককেও তিনি শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সমর্থন দিতে বলবেন।
ইরাক থেকে ব্রিটিশ সেনাসহ বিদেশি বাহিনী বরখাস্তে দেশটির পার্লামেন্টে আহ্বান জানানো হয়েছে। বরিস বলেন, আমাদের সব স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কাসেম সোলাইমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ধ্বংসাত্মক, অস্থিতিশীল আচরণের জন্য তিনি দায়ী ছিলেন। তার নেতৃত্বের ভূমিকায় তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে হাজারো নিরাপরাধ লোক ও পশ্চিমাদের মৃত্যুর দিকে ধাবিত করেছে। তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করবো না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা পরিষ্কার যে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার সব আহ্বানে অঞ্চলটিকে আরও সহিংসতার ভেতর নিয়ে যাবে। তাতে কারো স্বার্থ নেই।