সৌদি কারাগারে চুমু দিতে বাধ্য করা হয় নারী বন্দিদের
ই-বার্তা ডেস্ক।। সৌদি আরবের কারাগারে বন্দি নারী মানবাধিকার কর্মীদের একে অপরকে চুমো দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কারারক্ষী, তদন্তকারী ও জিজ্ঞাসাকারীদের বিরুদ্ধে।
গত বছরের মে থেকে সৌদির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি বেশ কয়েকজন নারী বন্দির সাক্ষাৎকার নিয়েছে অ্যামনেস্টি। সেখানে অন্তত ১০ জন নারী মানবাধিকার কর্মীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের নামে নারী বন্দিদের ওপর অমানসিক নির্যাতন, যেমন- বৈদ্যুতিক শক দেয়া, একজন আরেকজনকে চুমু দিতে বাধ্য করা এবং মজা নিয়ে দৃশ্য উপভোগ করেছে জিজ্ঞাসাবাদকারীরা। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক অনুসন্ধানে এমন লোমহর্ষক তথ্য উঠে এসেছে।
এমন খবরে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি সৌদি আরবে স্বাধীন পর্যবেক্ষণ দলের প্রবেশাধিকারের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত বছরের নভেম্বরের শেষদিকে আরেক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি জানায়, পুরুষ মানবাধিকার কর্মীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সৌদি আরব। আর নারী মানবাধিকার কর্মীদের ওপর যৌন নির্যাতন। গত বছরের মে থেকে গ্রেফতার বহু নারী ও পুরুষ অধিকার কর্মীর ওপর এ ধরনের বর্বরতা চালিয়ে আসছে দেশটির প্রশাসন।
মিসর এখন সমালোচকদের জন্য বিপজ্জনক- অ্যামনেস্টি : মিসরের নাগরিকরা বাকস্বাধীনতার ওপর নজিরবিহীন হামলার শিকার হচ্ছেন। দেশটিতে গত বছর শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের পরও অন্তত ১১৩ জন সমালোচককে আটক করা হয়েছে।
মিসর এখন আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সমালোচকদের জন্য বিপজ্জনক দেশে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ হুশিয়ারি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। খবর আলজাজিরার।
লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটির উত্তর আফ্রিকা ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর নাজিয়া বৌনাইম বলেন, মিসর সরকারের সমালোচকদের জন্য আগের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম