স্বপ্নের ফাইনালে প্রথমবার ক্রোয়েশিয়া
ই-বার্তা।। ৫২ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব গায়ে মাখার স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। সেই লক্ষ্যে বাধা ছিল ক্রোয়েশিয়া। সেমিফাইনালে ক্রোয়াটদের হারাতে পারলেই সোনালী ট্রফি জয়ের স্বপ্নের খুব কাছে চলে যেত ইংলিশরা। তবে পারল না তারা। প্রতিপক্ষের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিল হ্যারি কেনরা।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে একবারই ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড, সেই ১৯৬৬ সালে। সেবার শিরোপা নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল তারা। ফের তা ছুঁয়ে দেখার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের/থ্রি-লায়নসদের।রীতিমতো রূপকথার গল্প লিখল ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপে দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল তৃতীয় স্থান। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে তৃতীয় হয় ক্রোয়াটরা। তা ছাপিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে গেল তারা। আগামী ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া। শুরুটা দুর্দান্ত করে ইংলিশরা। ঘড়ির কাঁটা ৫ মিনিট না ঘুরতেই গোল পেয়ে যায় তারা। কেইরান ট্রিপারের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক গোলকিপার ড্যানিয়েল সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় ক্রোয়েশিয়ার জালে। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
এগিয়ে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। মুহুর্মুহু আক্রমণে ক্রোয়েশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা। একাধিক গোলও পেতে পারতো ইংলিশরা। তবে ১৪ ও ৩৬ মিনিটে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি ম্যাগুইরে ও জেসি লিঙ্গার্ড।এর মাঝে ও পরে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়াও। তবে তারাও স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি। ১৯ ও ২৩ মিনিটে নাগালে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করেন ইভান পেরেসিচ। আর ৪৩ মিনিটে মিস করেন সিমে ভ্রাসালকো। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া হয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। আপ্রাণ চেষ্টা করে ক্রোয়াটরা। হানে একের পর এক আক্রমণ। অবশেষে তাদের প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে। ৬৮ মিনিটে সিমে ভ্রাসালকোর অনন্যাসাধারণ থ্রু থেকে নিশানাভেদ করেন ইভান পেরেসিচ। এতে লড়াইয়ে ফেরে ক্রোয়েশিয়া।
এতে জমে উঠে ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া লড়াই। পরে অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে চলে খেলা। তবে কেউই গোলমুখ খুলতে পারেনি। ফলে ১-১ সমতাতেই শেষ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা।স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় দুই ইউরোপিয়ান দলের দ্বৈরথ।এসময়েও ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে ফুটবলদেবী এদিন তাদের সহায় ছিল না। ৯৯ মিনিটে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। তবে প্রতি আক্রমণ থেকে ১০৯ মিনিটে গোল হজম করে বসে তারা।অসাধারণ গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন মারিও মানজুকিচ। এতেই আশাভঙ্গ হয় গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে মাঠ ছাড়ে জ্লাতকো দালিচের শিষ্যরা।