স্যার জন সুলস্টন আর নেই
ই-বার্তা ।।
ব্রিটিশদের মানবতার অগ্রদূত স্যার জন সুলস্টন (৭৫) মারা গিয়েছেন।
তার গবেষণায়, মানবতার অগ্রদূত হিসেবে তিনি ব্রিটিশদেরকে আন্তর্জাতিকভাবে একটা পরিচিতি দিয়েছেন।
২00২ সালে স্যার জন একটি নম্র কৃমির মধ্যে কোষের বিকাশের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা ক্যান্সার গবেষণার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের পথ তৈরি করেছিল।
তিনি বিজ্ঞানের সীমারেখা প্রসার এবং মানব জিনোমের তথ্য সকলের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ বিশ্বাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি কেমব্রিজের কাছে হিংক্স্টন এর ওয়েলকাম ট্রাস্ট স্যাঞ্জার ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁর গবেষণাগারগুলি নাম করণ করেন।
ওয়েলকাম স্যাঞ্জার ইন্সটিটিউটের পরিচালক স্যার মাইক স্ট্রাটটন বলেন, সীমাবদ্ধতা ছাড়াই জিনোমের তথ্য সকলের কাছে উন্মুক্ত করার জন্য বৈজ্ঞানিক একটি জ্বলন্ত ও অপরিবর্তনীয় পন্থা অবলম্বন করেন।
তিনি বলেন, “আজ আমরা সবাই একজন মহান, বৈজ্ঞানিক দূরদর্শী নেতাকে হারিয়েছি, যিনি জীবিত অবস্থায় তার জ্ঞানকে ঐতিহাসিক, ল্যান্ডমার্ক দিয়েছেন, এবং ২১ শতাব্দীর বিজ্ঞানকে একটি মিশন এবং এজেন্ডা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন ।
বার্মিক্যাল গবেষণা দাতব্য সংস্থার পরিচালক জেরেমি ফারার বলেন, অধ্যাপক সুলথনের নেতৃত্বে হিউম্যান জিনোইম প্রজেক্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, গত শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার মধ্যে এটি অন্যতম।
তিনি বলেন, “বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রবেশের স্বাধীনতার প্রতি তাঁর নিখরতা উন্মুক্তভাবে প্রবেশে আন্দোলনের ভিত্তি ছিল এবং এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করত যে, মানবিক জিনোমের ক্রম প্রকাশ মানবতার উপকারের জন্য উন্মুক্তভাবে প্রকাশিত হয়েছিল”।
স্যার জন ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি একজন ভিকারের পুত্র। তিনি ১৯৬০ এর দশকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউক্লিওটাইড রসায়ন বিষয়ে এবং জৈব রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার পর, তিনি 1969 সালে কেমব্রিজে ফিরে আসেন।
২০১৭ সালে তার জন্মদিনে রাণী তাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন তার কাজের স্বীকৃতি জন্য।
সুত্রঃ বিবিসি