হারের শঙ্কায় ভুগছে বিজেপি
ই- বার্তা ডেস্ক।। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জুটি ‘অব কি বার ৪০০ পার ’ এই স্লোগান দিয়েই এবারের ভোটযুদ্ধ শুরু করেছিলেন।
গতকাল সোমবার সাত দফার ভোটের পঞ্চম দফা শেষ হয়েছে। পঞ্চম দফার ভোটের পর দেশটির ক্ষমতাসীন এই রাজনৈতিক দলের নেতারাই বলছেন, চারশ’ দূর অস্ত, ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ২৭১ আসনে জয় পাওয়াই এখন বিজেপির জন্য কষ্টসাধ্য।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। একাধিক রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী বৈতরণী পারের দায়িত্ব তার কাঁধে রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে বিজেপি।’
তবে রাম মাধবের বিশ্বাস, জোট হিসেবে সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার অর্জন করে নেবে এনডিএ। অর্থাৎ তার দাবি অনুযায়ী, বিজেপির নেতৃত্বেই কেন্দ্রে সরকার গঠন হবে।চার বছর আগের নির্বাচনে বিজেপি যে জয় পেয়েছিল ২০১৯ সালে সেটির পুনরাবৃত্তি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির এই নেতা। তবে তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির আসন বাড়বে। দক্ষিণাঞ্চলেও দলের ভালো ফলের ব্যাপারে আশা করছেন তারা। দেশের বাকি অংশে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া আসন সংখ্যা কমিয়ে দেবে বলে মনে করছেন রাম মাধব।
শুধু বিজেপির এই নেতাই নন, একই সুর শোনা গেছে দেশটির ক্ষমতাসীন এই দলের শরীক শিবসেনার নেতাদের কণ্ঠেও। শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘বিজেপি একা সরকার গড়তে পারবে না। তবে জোট হিসেবে এনডিএ’র সরকার গঠনে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’ লোকসভার ভোটযুদ্ধের শেষের দিকে এসে ক্ষমতাসীন দল ও শরিকদের এমন সুর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা।
সোমবার পঞ্চম দফায় দেশটির সাতটি রাজ্যের ৮ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন। দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, বিজেপির প্রবীণ রাজনীতিক রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি-সহ অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর আসনেও ভোট হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য বলছে, পঞ্চম দফায় ভোট পড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। ভোটগ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম