হিন্দুদের জন্য নতুন মন্দির তৈরি করবে পাকিস্তান সরকার
ই-বার্তা ডেস্ক।। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর হিন্দুরা পাকিস্তান ছাড়লেও এখনও সেই দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করছে হিন্দুরা। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে পাকিস্তানে থাকা বহু হিন্দু মন্দির। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে যাওয়া সেসব মন্দির মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
কিছুদিন আগে পাকিস্তানে দুই হিন্দু তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় দূতাবাসের কাছে সেই বিষয়ে রিপোর্টও চান ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে হিন্দু মন্দির পুনর্নির্মাণের কথা জানাল পাকিস্তান সরকার।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের হিন্দুরা এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বেশ কিছু মন্দিরে মাদ্রাসাও তৈরি হয়েছে গত কয়েক বছরে। অনেক মন্দিরের জমি জবরদখল হয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবার সেইসব মন্দির হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিয়ালকোট ও পেশোয়ারের দুই বিখ্যাত মন্দির দিয়ে শুরু হবে সেই কাজ। সিয়ালকোটে রয়েছে একটি জগন্নাথ মন্দির। এছাড়া ওই সিয়ালকোটেই ১০০০ বছরের পুরনো একটি শিবমন্দির পুনর্নির্মাণ করা হবে।
প্রত্যেক বছর দুটি বা তিনটি করে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দির পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে, পাকিস্তানে হিন্দু অধিকার সংগঠনের তরফ থেকে একটি সার্ভে করে দেখা হয় যে দেশভাগের সময় পাকিস্তানের দিকে ছিল অন্তত ৪২৮টি হিন্দু মন্দির, যার মধ্যে ৪০৮টি মন্দির খেলনার দোকান, সরকারি অফিস, রেস্তোরাঁ বা স্কুলে পরিণত হয়েছে।
২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে পাকিস্তানের সিন্ধে ১১টি মন্দির, পাঞ্জাব প্রদেশে চারটি মন্দির, বালোচিস্তানে তিনটি মন্দির ও খাইবার পাখতুনখোয়ার দুটি মন্দির রয়েছে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু