১৪ বছর পরেই মঙ্গলের একমাত্র নিঃস্বঙ্গ মেয়ে হবে এলিজা!
ই-বার্তা ডেস্ক ।। এলিজা কার্সন। সে জানে না তার মা কে। সিংগেল প্যারেন্ট হিসেবে বাবার কাছে বড় হয়েছে সে।
বছর আঠারোর এ মেয়েটি নাসার কনিষ্ঠতম সদস্য। সব কিছু অনুকূলে থাকলে এলিজা হবে ২০৩৩ সালে মঙ্গলে যাওয়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ। সাত বছর বয়সে বাবা তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আলবামার একটি স্পেস ক্যাম্পে। সেই ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা তাকে এমনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল যে তার ভাবনার জগতটাই অন্য শিশুদের চাইতে আলাদা হয়ে যায়।
এলিজার যখন ৯ বছর বয়স তখন তার সাথে দেখা হয় নাসা’র এক মহাকাশচারী সান্ড্রা ম্যাগনাসের সঙ্গে। এই নারী মহাকাশচারী তাকে জানিয়েছিলেন ছোটবেলাতেই তিনি মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এ কথা ছোট্ট এলিজার চোখে মহাকাশে যাওয়ার স্বপ্ন গাঢ় করেছিল।
১২ বছর বয়সে এলিজা সবচেয়ে কম বয়েসী হিসেবে আলবামা, কানাডার কুইবেক ও তুরস্কের ইজমিরে নাসার তিনটি ভিন্ন স্পেস ক্যাম্পে অংশ নেয়।
যেহেতু সে মঙ্গলে গেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম তাই নাসার কাছে সে কোনো প্রকার যৌনতা, বিয়ে বা সন্তানধারণের নিষেধাজ্ঞাপত্রতে স্বাক্ষর করেছে।
অফিসিয়ালি নাসা ১৮ বছরের আগে কাউকে নভোচারী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ দেয় না। তবে এলিজার ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয়নি। প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি এলিজাকে মানুষের ভবিষ্যত মঙ্গল অভিযানের জন্য শক্ত সমর্থ করে তৈরি করতে চেয়েছে। ২০৩৩ সালে যখন মঙ্গল গ্রহে প্রথমবার মানুষ পাঠানোর অভিযান শুরু হবে, তখন এলিজার বয়স হবে ৩২, যা একজন নভোচারীর জন্য যথাযথ বয়স।
এলিজা জানে, সে হয়তো আর ফিরে আসবেনা এই পৃথিবীতে। আর মাত্র ১৪ বছর পরে একমাত্র নিঃসঙ্গ মানুষ হিসেবে কোটি কোটি মাইল দূরের লোহার লালচে মরিচায় ঢাকা প্রচণ্ড শীতল নিষ্প্রাণ গ্রহের ক্ষীয়মাণ নীল নক্ষত্রের নিচে হারিয়ে যাবে। তবে তাতে ভীত নয় সে।
ভাবতে অবাক লাগে মানুষের স্বপ্ন কত বিশাল! এলিজা কার্সন আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়। সে বলে- ‘Always Follow Your Dream and Don’t let Anyone Take it From You.’
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া