১৭ ফিলিস্তিনি হত্যায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা
ই-বার্তা।। নিজেদের ভিটেমাটি ফিরে পাওয়ার দাবিতে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যার দায়ে ইসরাইলের নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
শনিবার তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তানবুলে এক বক্তৃতায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের জন্য আমি ইসরাইল সরকারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ইসরাইলি বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগকে বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন।
টুইটারে এক বার্তায় তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারকে অবশ্যই শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যথাযথ মীমাংসার আহ্বানে সাড়া দিতে হবে।
জর্ডান সরকার এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার হরণ করতে এই অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে।
কাতারও এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইসরাইলের নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে কুয়েত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিল।
ওই বৈঠকে ইসরাইলের বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ওয়ালটার মিলার বলেন, সহিংসতা উসকে দিতে খারাপ লোকগুলো বিক্ষোভকে ব্যবহার করেছে। এতে নিরপরাধ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভের ক্ষেত্রে মিলার ও ইসরাইল সরকার একই দৃষ্টিভঙ্গি বহন করছে। বিক্ষোভের জন্য ইসরাইল সরকার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে দায়ী করেছে।
১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী সশস্ত্রগোষ্ঠী জাতিগত নির্মূল অভিযান চালিয়ে সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আরবরা এ ঘটনাকে নাকবা বা বিপর্যয় হিসেবে পালন করেন।
গাজা উপত্যকার ২০ লাখ অধিবাসীর ৭০ শতাংশই পূর্বপুরুষদের ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত হয়ে শরণার্থীর জীবনযাপন করছেন।
-খবর আলজাজিরা।