বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ প্রচার শুরু
ডেস্ক রিপোর্ট ।। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে বিএনপি। গত দুই-তিন দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রচারণা চলছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের উন্নয়নে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, সে বিষয়ে সুনিদিষ্ট প্রস্তাবনা রয়েছে ‘ভিশন ২০৩০’-এ। ফলে নির্বাচনের আগে সব পেশার ও বয়সের ভোটারদের জানান দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল ইউটিউব, মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারসহ বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ও ওয়েবসাইটে ‘ভিশন ২০৩০’ প্রচার করা হচ্ছে।২০১৭ সালের ১০ মে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।বিএনপির সূত্র জানায়, দলের রিসার্চ টিম বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার এই ‘ভিশন ২০৩০’ প্রচার করছে। সেখানে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ ২০ জন সদস্য রয়েছে। এই টিম থেকে কয়েকজনকে সম্মানীও দেওয়া হচ্ছে। এর মূল দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।শামা ওবায়েদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আধুনিক এই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে সব দলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করতে হবে। কারণ সারা পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ এখন দিনের অর্ধেকের বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সঙ্গে যুক্ত থাকেন। সেক্ষেত্রে শুধু বিএনপি কেন, বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলো সোশ্যাল মিড়িয়াতে সরব রয়েছে। সেখানে তারা দলের আদর্শ-উদ্দেশ্য ও কর্মপরিকল্পনা প্রচার করে কর্মী বা ফলোয়ার তৈরি করছে।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ নয়, বিশ্বের রাজনৈতিক দলগুলো সামাজিক যোগাযোগ প্রচার-প্রচারণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই আগামীদিনে বিএনপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও বেশি সক্রিয় হবে। আগামী নির্বাচনে অন্যদলগুলোর মতো বিএনপিও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তরুণ প্রজন্মকে জানাতে এবং ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘ভিশন ২০৩০’ প্রচার করার জন্য ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এবং বিএনপি কমিউনিকেশন, টুইটারে বিএনপি বাংলাদেশ, ইউটিউবে বিএনপি কমিউনিকেশন নামে চ্যানেল করা হয়েছে। এগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে ‘ধানের শীষ সমৃদ্ধির প্রতীক, সৌন্দের্যের প্রতীক’, ‘নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন’। এছাড়া ফেসবুক এবং টুইটারে ইমেজ আকারে প্রচার করা হচ্ছে “পুলিশকে অতিরিক্ত কাজের জন্য ‘ওভারটাইম ভাতা’ দেওয়া হবে।” ‘কৃষি জমি রক্ষায় বহুতল আবাসন গড়া হবে।’ “নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য `Start-up fund’ তৈরি করা হবে। সেখান থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ এবং স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।” “প্রশাসনিক স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হবে।”
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিড়িয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির রির্সাচ সেন্টারের উদ্যোগে ‘ভিশন ২০৩০’ প্রচার শুরু হয়েছে। এখান থেকে শুধু ‘ভিশন ২০৩০’ নয়, খালেদা জিয়ার মামলার সব আপডেট বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জন্য প্রচার করা হচ্ছে।”বিএনপির নেতারা জানান, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারের মাধ্যম হিসেবে সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শুরু করেছেন। কারণ, কোনও দল বা প্রার্থীর পক্ষে সশরীরে প্রত্যেক ভোটারদের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। ফলে অনলাইনে নিজের ও দলের ইতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। যাতে করে ভোটাদের নিজের পক্ষে নিয়ে আসতে পারে।বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। ফলে দলের ভষিষ্যৎ পরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
ই-বার্তা ।। ডেস্ক