আর্টিজান হামলার অভিযুক্ত আটজনের চার্জশিট আদালতে
ডেস্ক রিপোর্ট।। দেশ কাঁপানো গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে বলে জানানিয়েছেন পুলিশের জঙ্গি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের জঙ্গি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ।মনিরুল ইসলাম বলেন, আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে চার্জশিট আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকালে ঘটনার সঙ্গে ২১ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছিলাম আমরা, তাদের মধ্যে গুলশান হামলায় সরাসরি অভিযানে অংশ নেয়া ৫ জন ওইদিনই নিহত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আরও ৮ জন নিহত হন।তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় নিহত এই ১৩ জন বাদে আমরা জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছি। তাদের মধ্যে ৬ জন গ্রেফতার আছেন, বাকি দু’জনকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্টের আবেদন জানানো হয়েছে।পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, জীবিত যাদের নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, পলাতক মামুনুর রশিদ রিপন ও শহীদুল ইসলাম খালেদ।গুলশান হামলায় সম্পৃক্ত নিহত ১৩ জনের পরিচয়: মনিরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন অভিযানে নিহত যে ১৩ জনের গুলশান হামলায় সম্পৃক্ততা মিলেছে, তারা হলেন তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, সারোয়ার জাহান, বাসারুজ্জামান চকলেট, তানভীর কাদেরী, তারেক রায়হান, ছোট মিজান, মেজর জাহিদুল ইসলাম, গুলশানে হামলার পর অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গি রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিরবাস ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।
ই-বার্তা।ডেস্ক