ভারতের কেরালায় বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু!
ই-বার্তা।। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেছে। মুষলধারে হওয়া এ বৃষ্টি শনিবারের আগে থামছে না বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ইতিমধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন রাজ্যটির দেড় লাখ বাসিন্দা। বিবিসি জানিয়েছে, জলাবদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অধিবাসীদের সরিয়ে নিতে উদ্ধারকর্মীরা জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। টানা বৃষ্টিতে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বাঁধ খুলে দিতে বাধ্য হলে কেরালার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ১০৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানালেও ইকোনমিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে ১১৪ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ।
আরও বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কার দক্ষিণের এ রাজ্যটির ১৪ জেলার ১৩টিতেই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জনসাধারণকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক জেলাতেই পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বন্যায় আটকেপড়াদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার, লাইফবোটের পাশাপাশি বিভিন্ন বাহিনীর হাজারও সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যের মুখমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, আমরা এমন কিছু প্রত্যক্ষ করছি, কেরালার ইতিহাসে যা আগে কখনই দেখা যায়নি। প্রায় সব বাঁধ খুলে দেয়া হয়েছে। যেসব প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হতো তার বেশিরভাগই তলিয়ে গেছে।
মোটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ুর একটি বাঁধের ফটক খুলে দিলে পরিস্থিতির অবনতি হয়। এটিকে রাজ্যসরকারের ব্যর্থতা হিসেবেও মেনে নিয়েছেন এ সিপিএম নেতা। কেরালার বাণিজ্যিক রাজধানী কোচির অনেক এলাকা ডুবে যাওয়ায় সড়ক ও রেলযোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার পানিতে রানওয়ে ডুবে যাওয়ায় কোচি বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম ২৬ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া এক সতর্কবার্তায় পেরিয়ার ও চালাকুদি নদীর পানি বাড়তে পারে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে আলুভার অবস্থাই সবচেয়ে বাজে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। দক্ষিণের ইডুক্কি ও উত্তরের মালাপ্পুরাম ও কান্নুরে নতুন করে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে।
ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট
