১০টি গ্রেনেড, ২টি সুইসাইডাল বেল্ট, ২টি স্কেচম্যাপ সহ আটক ২ জঙ্গী
ই-বার্তা ।। গোপন সূত্রে এ পরিকল্পনার খবর পেয়ে জঙ্গিদের এ পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সোমবার মধ্যরাতে নগরীর সদরঘাট থানাধীন পোর্ট সিটি হাউজিং সোসাইটির মিনু ভবনের ৫ম তলার ভাড়াঘরের ব্যাচেলর রুম থেকে নব্য জেএমবির ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়অ এর পর সদরঘাট থানায় হামলার পরিকল্পনার কথা জানা যায়।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জানায় নগরীর সদরঘাট থানায় হামলার পরিকল্পনা ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির। হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তৈরি করা হয় স্কেচম্যাপ। মজুদ করা হয় গোলাবারুদ।
অভিযানে তাদের রুম থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড, ২টি সুইসাইডাল বেল্ট, ২টি স্কেচম্যাপ ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানাধীন আনিছুর রহমানের ছেলে মো. আশফাকুর রহমান ওরফে আবু মাহির আল বাঙ্গালী ওরফে রাসেল ওরফে সেলেবি তিতুশ (২২) ও কুমিল্লার মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. রাকিবুল হাসান ওরফে জনি ওরফে সালাহ উদ্দিন আয়ুবী ওরফে আবু তাইছির আল বাঙ্গালী ওরফে হাসান (১৯)।
গ্রেফতার দুই জঙ্গি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মোহাম্মদ নোমান ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেসব্রিফিং এর আয়োজন করে নগর পুলিশ। সিএমপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংএ অভিযান নিয়ে কথা বলেন গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (উত্তর) হাসান মো. শওকত আলী।
তিনি বলেন, নব্য জেএমবির ২ সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা দুটি স্কেচম্যাপ এবং তাদের দেয়া তথ্যে জানা গেছে সদরঘাট থানায় তাদের হামলার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার মাধ্যমে জনমনে আতংক সৃষ্টিতে এ পরিকল্পনা নেয় তারা। এজন্য বোমাও মজুদ করেছিল।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে দুই জঙ্গি সদস্য জানায়, ডন নামে তাদের এক আমিরের নির্দেশে চট্টগ্রামে পুলিশের স্থাপনায় হামলার টার্গেট করে। এজন্য মিসবাহ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ২ মাস আগে তারা এ বাসা ভাড়া নেয়। তাদের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে তা রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।