নারীশিক্ষা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন হেফাজত আমির
ই-বার্তা ডেস্ক ।। হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে দেয়া বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন তিনি। প্রেরিত বিবৃতিতে আল্লামা শফি উল্লেখ করেন, ওই বক্তব্যে মূলত তিনি বলতে চেয়েছেন ইসলামের মৌলিক বিধানে পর্দার লঙ্ঘন হয়, এমন প্রতিষ্ঠানে নারীদের পড়াশোনা করানো উচিত হবে না। সবার মনে রাখতে হবে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সব কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসলামের একটি মৌলিক বিধান হচ্ছে পর্দা এবং নারীদের পর্দার বিষয় ইসলামে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। লেখাপড়া করতে গিয়ে যেন পর্দার বিধান লঙ্ঘন করা না হয়। কারণ দেশের বেশিরভাগ সাধারণ শিক্ষাকেন্দ্রে সহশিক্ষা দেয়া হয়। সেখানে ছেলে-মেয়েরা একই সঙ্গে পড়ে। এতে করে পর্দার লঙ্ঘন হয়। এই সহশিক্ষার বিষয়েই মূলত তিনি মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছেন।
আল্লামা শফি বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাকে নারী ও নারী শিক্ষাবিদ্বেষী বলে প্রচার করা হয়েছে এবং তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত বলে পরিগণিত হচ্ছে, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কীভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম তা বোধগম্য নয়’।
আল্লামা শফি বলেন, তিনি নারী শিক্ষার বিরোধী নন, তবে নারীদের নিরাপদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আগেও সতর্ক করেছেন, এখনও করছেন।
ই-বার্তা /শফিকুল ইসলাম