সাংবাদিক সাগর-রুনির কবরের পাশে ছেলে মেঘ
ই-বার্তা ডেস্ক ।। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর রুনির ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা।
সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি দম্পতিকে কবর দেওয়া হয়েছে রাজধানীর আজিমপুর কবস্থানে।
মাঝেমধ্যে কবরটি জিয়ারত করতে যান সাগর-রুনির পরিবারের সদস্য, আত্বীয় স্বজন ও তাদের রেখে যাওয়া সহকর্মীরা। সাংবাদিক এই দম্পতির রেখে যাওয়া একমাত্র ছেলে সন্তান মাহি সরওয়ার মেঘও যান বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করতে।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন মেহেরুন রুনি। শুক্রবার মেঘের সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের। শনিবার সে বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করতে যায়। পরে বাড়িতে দোয়া মাহফিলে অংশ নেয়।
আগে মসজিদে গিয়ে দুহাত তুলে মেঘ আল্লাহকে বলত যেন ওইসব ‘চোররা’ (সাগর-রুনির খুনিরা) ধরা পড়ে। তবে সেই মেঘ এখন তার বাবা-মায়ের খুনিদের বিচার চায়।
এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।
আসামিদের প্রত্যেককে কয়েকবার করে রিমান্ডে নেওয়ার পরেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি আদালতে।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া