সিটিজেনশিপের শর্তে ৩ বছরে ১০ লাখ শ্রমিক নেবে কানাডা
ই-বার্তা ডেস্ক।। কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রক্রিয়া বর্তমানে অনেক সহজ করা হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে ১০ লাখ দক্ষ শ্রমিক নেবে দেশটি। ফলে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ করার অনুমতি ও নাগরিকত্ব পাবেন তারা।
সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী আহমেদ হুসেন।
হাই স্কিল্ড, ফ্যামিলি মাইগ্রেশন, ট্রেড স্কিল্ডসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ৬০ ধরণের প্রোগ্রামের আওতায় এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে অর্থাৎ তিন বছরে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে পর্যায়ক্রমে ১০ লাখের বেশি পেশাজীবী বিভিন্ন খাতে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেশটির সরকার। এজন্য পৃথিবীর অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেশাজীবীরাও ১০ পদের যেকোনও এক পদে আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপি এই দুই ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বেশি আবেদন করা হয়। কানাডায় নাগরিকত্ব পাবার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিজের আছে কীনা তা জানতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, কানাডা সবসময়ই ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে অভিবাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিল সি-৬ অনুযায়ী কানাডার সিটিজেনশিপের আবেদন করতে ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৩ বছর বসবাস করতে হবে। এর আগে ছিল ৬ বছরের মধ্যে ৪ বছর।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, কানাডায় অভিবাসনের আবেদন করতে সাধারণত একটি পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটা, পরিবারের তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি পাস , আইইএলটিএস, ইসিএ সার্টিফিকেট, কমপক্ষে দুই বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।
কানাডায় ইমিগ্রেশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রহী যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সাথে। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত যেকোনও ডিপ্লোমাধারী অথবা ডিগ্রি পাসধারী দক্ষ ও অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন।
আগ্রহীরা ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে (লেভেল ৫) ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু