গণশুনানিতে যা বললেন কামাল-ফখরুল
ই-বার্তা ডেস্ক ।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম-কারচুপি নিয়ে শুক্রবার সকালে গণশুনানি শুরু করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সকাল ৯টার দিকে সু্প্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এ কর্মসূচির শুরুতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব করেন।
গণশুনানির শুরুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বিচারক নই। কোনো বিচার করার ক্ষমতা বা কর্তব্যও নেই আমাদের। গণশুনানি হচ্ছে- প্রার্থীরা জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন।
তিনি বলেন, বিচার যেটি হচ্ছে- সেটি ট্রাইব্যুনালে হবে। আর গণআদালত যেটি বলা হয়- সেটির বিচার জনগণ করবে। আমরা এসেছি অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য। যে বক্তব্য আসবে, সেগুলো পরে প্রকাশ করা হবে। বই আকারেও প্রকাশ করা হবে। সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।
কামাল হোসেন বলেন, ভোটাধিকার রক্ষা করার জন্য আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে লেখা আছে- জনগণ ক্ষমতার মালিক। এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটি নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইব্যুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছেন।
‘দলের নেতাদের ধারণা হলো- নির্বাচনে আসলে কী ঘটেছে, সেটি জনগণকে জানানো দরকার। কেননা তারা ক্ষমতার মালিক হিসেবে ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চেয়েছিলেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায়, যা ইচ্ছা তাই করছে সরকার। তাকে কোনো কিছুর জন্য জবাবদিহি করতে হয় না।
গণশুনানিতে সাত সদস্যের বিচারক প্যানেলের প্রধান হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ড. নুরুল আমিন বেপারী, ড. মহসিন রশীদ, ড. আনিসুর রহমান খান, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী ও ড. আসিফ নজরুল।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া