ফুলবাড়ি-গুলিস্তান রুটে চাঁদা না দিলে চলতে দেওয়া হয় না গাড়ি
ই-বার্তা ডেস্ক।। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এবং বিভিন্ন কম্পানির নাম ব্যাবহার করে দফায় দফায় আদায় করা হয় চাঁদা। এ কাজের জন্য তারা নিজেরায় লোকবল নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সাধারণ মালিকরা এক রকম বাধ্য হয়েই তাদের বাস কম্পানিগুলোর আয়োতায় দিয়ে দেন আর তা না করলে বাসগুলো সড়কে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয় না ।
গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়ার বিভিন্ন বাস মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই দুটি বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচল করছে ৩০টি বাস কম্পানির দুই হাজার ৯০টি বাস। কম্পানিগুলো হচ্ছে প্রভাতী-বনশ্রী, ডি-লিংক, গ্রামীণ সেবা, শুভযাত্রা, আজমেরী, গাজীপুর, ঢাকা পরিবহন, স্কাইলাইন, এয়ারপোর্ট, দিশারী, তানজিল, ইটিসি।
ফুলবাড়িয়া ও গুলিস্তান থেকে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোয় যে দুই হাজার ৯০০ বাস চলাচল করে, ওই বাসগুলোর প্রতিটি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ টাকা চাঁদা তোলা হয় মালিক সমিতির নামে। এই হিসাবে প্রতি মাসে ওই খাতে আদায় করা হয় ছয় কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সিটি টার্মিনাল টোল খাতে দিনে চাঁদা আদায় করা হয় বাসপ্রতি ২০ টাকা। এ খাতেও মাসে আদায় হয় ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে বাসপ্রতি চাঁদা আদায় করা হয় ৩০ টাকা হারে। শ্রমিক নেতারা মাসে আদায় করেন ১৫ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা। সব মিলিয়ে ফুলবাড়িয়া ও গুলিস্তান থেকে চলাচলকারী দুই হাজার ৯০০ বাস থেকে প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করা হয় ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৯ হাজার টাকা।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর কাছে ফুলবাড়িয়া ও গুলিস্তান বাস টার্মিনাল থেকে ১০ কোটি টাকার চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। ’ চাঁদাবাজির খাতগুলো উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাস কম্পানিগুলোর ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, ‘বাস কম্পানিগুলো হয়তো বেশি টাকা আদায় করে। আমরা মালিক সমিতির নামে টাকা নেই না তা নয়, নিই; তবে সে টাকা মালিক সমিতিতে জমা থাকে এবং প্রয়োজনে মালিকদের কল্যাণেই খরচ করা হয়।’
ই- বার্তা/ আরমান হোসেন