রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের উদ্যোগ কতটা কার্যকর হবে
ই – বার্তা ডেস্ক।। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। তবে শুরুতেই রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতার ফলে এ উদ্যোগের সফলতা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ।
বিশ্নেষকরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার ভূমিকা ছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ এর আগেও মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টির একাধিক উদ্যোগ এসেছে; কিন্তু চীন-রাশিয়ার অবস্থানগত কারণে কোনো উদ্যোগই সফল হয়নি। এর বিপরীতে ভারত, চীন, রাশিয়া এবং আসিয়ান দেশগুলোর তত্ত্বাবধানে ‘সেফ জোন’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে গেলে তার সফলতার সম্ভাবনা বেশি বলে মত দেন বিশ্নেষকরা।
জাতিসংঘের নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে জানা যায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্য সম্প্রতি একটি প্রস্তাব দেয়। এতে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারকে চাপ দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একাধিক স্তরে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। বিশেষ করে প্রস্তাবে মিয়ানমারের ওপর প্রথম পর্যায়ে সীমিত আকারে কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরবর্তী সময়ে আরও নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে সতর্ক বার্তা দেওয়া হবে।অন্য একটি সূত্র জানায়, চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে একাধিক সংস্থার প্রতিবেদন জমা পড়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ইয়াংহি লিও বছরের শুরুতেই পুনর্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনিও তার অধিকতর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদন ও পর্যবেক্ষণ থেকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আশঙ্কা বাড়লেও এ বিষয়ে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে কার্যত কোনো উদ্বেগ নেই। বরং রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে মিয়ানমারকে দায়মুক্তি দিতেই এ দুটি দেশকে বেশি তৎপর দেখা যাচ্ছে। এর বিপরীতে পশ্চিমা দেশগুলো রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধিতে বিকল্প বিভিন্ন উপায় খুঁজে দেখছে। এটাই এখন পর্যন্ত আশার বিষয়। তবে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান নিয়ে এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও খুব বেশি তৎপরতা নেই।
রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে হতাশাজনক ভূমিকা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর। এর একটা বড় কারণ মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশগুলো নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সংকটে রয়েছে।
ই- বার্তা/ আরমান হোসেন পার্থ