চ্যাম্পিয়ন লিগের শেষ আটে রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ চার বছরে তিনবার শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদকে থামাতে পারলো না প্যারিস সেন্ত জার্মেই। তাদেরকে বিদায় করে টানা অষ্টমবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-১ গোলে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল পিএসজি। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে লস ব্লাঙ্কোজদের হারিয়ে বদলা নিতে চেয়েছিল দলটি।কিন্তু তা স্বপ্নই থেকে গেল দ্য পারিসিয়ানদের। উল্টো ২-১ গোলে হেরে গেল তারা। আর প্যারিস জয় করে ইউরোপের ক্লাব সেরা প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠে গেল রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় পরের রাউন্ডে উঠল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিলেও ম্যাচের প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবল খেলতে দেখা গেছে রিয়ালকে। এর ফায়দা লুটে বারবার তাদের ঠেসে ধরেছে পিএসজি। তবে আক্রমণে ধার না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুদল।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল-পিএসজি। এক্ষেত্রে এগিয়ে যায় অতিথিরা। ৫১ মিনিটে ভাসকেজের ক্রসে হেডে বল ঠিকানায় পাঠান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগিজ সুপারস্টারের এ গোলের সৌজন্যে শেষ আটে ওঠা অনেকটা নিশ্চিত হয় রিয়ালের। এ নিয়ে ইউরোপ সেরার আসরে এখন পর্যন্ত ১১৭টি গোল করলেন রোনাল্ডো। শুধু এবারের আসরেই করলেন ১২ গোল।
সমতায় ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় পিএসজি। এতে ঘটে হিতে বিপরীত। ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মার্কো ভেরাত্তি। ১০ জনের দলে পরিণত হলেও চেষ্টা থামেনি প্যারিসের দলটির। ফলে গোলের দেখাও পায় তারা। ৭১মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান এডিনসন কাভানি।
তবে এগিয়ে যেতে সময় লাগেনি রিয়ালের। ৮০ মিনিটে গোল করে সব শঙ্কার কালো মেঘ সরিয়ে দেন কাসেমিরো। ১৯০২ সালে এ দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয় রিয়াল। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে ক্লাবের জন্মবার্ষিকীতে সমর্থকদের উৎসব-আনন্দে ভাসান জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। আর টানা দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়ার বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।