তিন বছরেও শনাক্ত হয়নি তনু হত্যার আসামী, হতাশ পরিবার
ই-বার্তা।। সোহাগী জাহান তনু ,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ভিতরেও ধর্ষনের শিকার হয়েছিলেন তনু এবং শেষ পরিণতি ধর্ষকদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হতে হয়।
ঘটনার দীর্ঘ ২৭ মাসেও সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে ব্যার্থ এই মামলার তদন্তকারিী কর্মকর্তারা।
তনুর দুটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ’ উল্লেখ না থাকায় মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি এ নিয়ে এখনও গন্তব্যহীন রয়েছে। তবে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির ডিএনএ প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করেই দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর এ মামলার যবনিকাপাত টানতে চাচ্ছে সিআইডি। চলতি মাসেই ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসতে পারে বলে সিআইডির একটি সূত্রে জানা গেছে।
দীর্ঘ ২৭ মাসেও মেয়ের ঘাতকদের চিহ্নিত করতে না পারায় ক্ষোভ জানিয়ে তনুর মা আনোয়ারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ের শোকে তনুর বাবা এখন মৃত্যু শয্যায়।
তিনি বলেন, মেয়ের হত্যার পর অনেকেই বাসায় এসে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিলেও এখন পাশে কেও নেই। এমনকি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির জালাল সাহেবও খবর নেন না। মাঝে মধ্যে আপনারা সাংবাদিকরাই খবর নিতে ফোন করেন।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ বলছেন, তনুর মামলাটি অধিক গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। তদন্তে এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে যেখানে ইচ্ছে করলেই তাড়াতাড়ি কিছু করা সম্ভব নয়।
হত্যাকান্ডের ১০ দিন পর ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ২য় ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের ডিএনএ রিপোর্টে ৩ পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ডিএনএ প্রতিবেদনের এমন গরমিল তথ্যে ঝুলে যায় ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।
সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।
ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ