একই রুম থেকে মৃত অবস্থায় ছাত্র ও অচেতন অবস্থায় নারী উদ্ধার
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে খুলনার বিএল কলেজের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ওই হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে বের করা হয়।
এসময় ওই হোটেলের একই কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করেছে। তারা দু’জনে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল পায়রা’র ৩০১ নম্বর কক্ষে ১৮ মার্চ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওঠেন। হোটেলের রেজিষ্টার অনুযায়ী জাহিদুল (৩০) পিতা হাফিজুর এবং তিনা (২৫) স্বামী জাহিদুল, খুলনার সোনাডাঙ্গা বলে উল্লেখ করা হয়।
আজ পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে। এছাড়া অচেতন নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আবাসিক হোটেল পায়রা’র ম্যানেজার কামাল জানায়, মঙ্গলবার দিনভর তাদের কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় রাতে পুলিশকে খবর দেয়। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর পর জাহিদুলকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। একই রুম থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্বার করা তিনা নামের নারী পর্যটককে প্রথমে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় আজ বেলা দশটার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মৃত জাহিদুলের মোবাইলে খুলনা থেকে রিয়াদ নামে তার এক বন্ধু ফোন করেন। রিয়াদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত জাহিদুলের নাম বন্ধন হিসেবেই তারা চেনেন। বন্ধন খুলনার বিএল কলেজের ছাত্র। সেই সাথে খুলনার ‘পথ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চাকরি করছিলেন তিনি। তার সাথে থাকা মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে রিয়াদ কিছু জানাতে পারেনি।
কুয়াকাটা হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই জাহিদুল ওরফে বন্ধন মারা গেছে। এছাড়া সাথের ওই নারী অচেতন রয়েছে। ধরাণা করা হচ্ছে, অতিমাত্রায় তারা ঘুমের ঔষধ সেবন করেছে।
একজনের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, হোটেলের ওই কক্ষ থেকে ক্লোনাজিপাম ও প্রোমিথাজিন নামের শতাধিক ট্যাবলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেলের ডায়রিতে উল্লেখ করা নাম ঠিকানা যাচাই এবং মৃতের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অচেতন নারীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ই-বার্তা/এস