হত্যা করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে প্রাণ গেল ঘাতকের
ই-বার্তা ডেস্ক।। কুমিল্লায় আলী আকবর নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করে পালানোর সময় আলম নামে ওই হত্যাকারী যুবক গণপিটুনিতে নিহত হন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বালুতুপা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আকবর স্থানীয় বাসিন্দা মৃত চারু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় ইফতারি ও নামাজের পর আলী আকবর স্থানীয় এক ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আলম আলী আকবরকে ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা করে।
ওই সময় আশপাশের লোকজনের চিৎকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী আলমকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আলম।
প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, ‘মাগরিবের নামাজ পইড়া আইসা দোকানে বইসা লাচ্ছি খাইতেছি। খাওয়ার পরে দেখলাম- সামনের মার্কেটের তলে সবাই দৌড় মারতাছে ওইদিকে। দৌড় মারার পরে দেখলাম যেই লোকটা আহত হইছে (আলী আকবর) উনি দৌড়াইয়া এইদিকে আইতাছে। আওয়ার পরে দেখি যে, যে ঘাই দিছে (আলম) সমানে তারে আরো ঘাই দিতেছে, ঘাই দিতেছে। তখন আমরা দৌড়ায়া কিছু করতে না পাইরা দেখি মেম্বার সাব বাইরায়া আসছে।’
‘পরে দেখি যে (আলী আকবরের) গলাটলা আলগা কইরা ফেলছে। এতোটুকুই। কী নিয়া ঘটনাটা এইটা জানতে পারি নাই। ঘটনাটা কী এই মার্কেটটা খোলা থাকলে জানা যাইতো। মার্কেটটা এখন বন্ধ, এই মার্কেটের গোড়াটাতেই কাহিনীটা। মার্কেট খোলা থাকলে তারা (মার্কেটের লোকজন) কী বলতো, তাইলে বোঝা যাইতো আসলে কী হইছে’,
এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘ইফতারির পরে মাগরিবের নামাজ, নামাজের পরে পাশেই একটা জানাজা চলতেছিল, এটা সোয়া ৭টা-সাড়ে ৭টা হবে হয়তোবা, আলী আকবর নামে এক বয়স্ক লোককে ছুরিকাঘাত করতেছিল আলম নামে একটা ছেলে। ছুরিকাঘাত করার ফলে আকবর মারাত্মক আহত হয়, হাসপাতালে নিলে দেখা গেছে মারা গেছে।’
‘এদিকে আলম যখন ছুরিকাঘাত করে তাৎক্ষণিক আবার সেখানে যারা যারা উপস্থিত ছিল, তারা আলমকে মারধর করে। আলমকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে সেও মারা যায়’,
কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানন তিনি।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু