নেপালে বিমান দূর্ঘটনা, ফয়সালের লাশের সঙ্গে নাজিয়ার লাশ বদল হয়ে গিয়েছিল

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিমানমন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদের লাশের সঙ্গে আরেক নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর লাশ বদল হয়ে গিয়েছিল বলে উভয়ের পরিবার দাবি করেছে।

ভুলক্রমে এই ঘটনা ঘটেছিল বলেও জানিয়েছে উভয়ের পরিবার। ফয়সালের ভাইয়ের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেছেন, আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে বলা হয়েছে, ফয়সালের লাশ হিসেবে তার পরিবারকে যে লাশ দেয়া হয় তা ফয়সালের নয়। ওই লাশ একই দুর্ঘটনায় আরেক নিহত নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর।

 

পরে ফয়সালের পরিবার নজিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন, ফয়সালের লাশ দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে। আর নাজিয়ার লাশ দাফন করা হয় শরিয়তপুরের ডামুড্যা গ্রামে। উভয় পরিবারই ওই দুজনের লাশ তুলে পরস্পরের কাছে হস্তান্তর ও যার যার কবরস্থানে নতুন করে কবর দেয়ার আবেদন করেছেন।

গত ১২ মার্চ নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন ২৬ বাংলাদেশি। এর কয়েকদিন পর ২০ মার্চ তাদের লাশ নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। ফয়সালের ভাই তার আবেদনে বলেন, ২০ মার্চ তার ভাইয়ের লাশ গ্রহণ করেন তার মামা কায়কোবাদ। শরীয়তপুরে গ্রামে নেয়ার পর জানাজা শেষে যখন কবর দেয়ার জন্য কফিন থেকে লাশ বের করা হয় তখন দেখেন, এটি তার ভাইয়ের লাশ নয়। লাশটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। সেখানে লেখা ছিল নাজিয়া আফরিন চৌধুরী। কিন্তু পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশঙ্কায় নাজিয়ার লাশ সেদিন সেখানেই দাফন করা হয়।

আদালত আদেশে আরও বলা হয়েছে, ফয়সালের লাশ বনানী কবরস্থান থেকে তুলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ঢাকা জেলার নির্বাহী হাকিমকে বলা হলো। আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন নিহত ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলাম ও নাজিয়ার ভাই আলী আহাদ চৌধুরী।

ই-বার্তা/এসএস