চাদে মানুষের স্বপ্ন যাত্রার ৫০ বছর
ই-বার্তা।। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে মানুষের পা রাখার ৫০ বছর পূর্তি আজ। অর্ধশতাব্দী আগে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই মার্কিন নভোচারী নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে পদার্পণের মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে স্বপ্ন আর বাস্তবের মিল ঘটাতে শিখিয়েছিলেন।
৫ দশক পর এখন চাঁদে পর্যটক হিসেবে যেতে চাইছে মানুষ। একদিন স্থায়ী আবাস গড়ার স্বপ্ন দেখছে। ৫০ বছর আগে চাঁদে পা রেখে মহাকাশযাত্রায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন।
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় মাইলফলক অ্যাপোলো ইলেভেন মিশনের সাফল্য স্বপ্ন দেখিয়েছিলো; একদিন শুধু নভোচারীরা নন, চাঁদে যাবেন সাধারণ মানুষও। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা আছে নাসার।
৫ দশকে বেসরকারি উদ্যোগ, গবেষণা ও প্রযুক্তির আধুনিকায়নে মহাকাশযাত্রার খরচ অনেক কমেছে। নাসার মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়; অনেকের মতেই, মহাকাশযাত্রার ভবিষ্যতের চাবিকাঠি একজন ব্যক্তি -মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
পে-প্যাল, টেসলার মতো প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ব্যবসার মালিক মাস্ক। মার্কিন বেসরকারি মহাকাশ পরিবহন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এর স্বত্বাধিকারী। কম খরচে রকেট ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে দারুণ জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটি। ইলন মাস্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মানুষ আবারও চাঁদে যাবে; তবে নভোচারী নয়, পর্যটক হিসেবে। একইভাবে মঙ্গল গ্রহ জয়েরও ইচ্ছে তার।
এরই মধ্যে চাঁদে প্রথম পর্যটক হিসেবে জাপানি ধনকুবের ইউসাকু মায়েজাওয়ার নাম ঘোষণা করেছে স্পেসএক্স। অ্যাপোলো ইলেভেনের ৫ ভাগের ১ ভাগ খরচে ২০২৩ সালে চাঁদে যাওয়ার লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানটির। মঙ্গলে যাত্রা সহজ করতে এবং মহাকাশ পর্যটনকে সার্বিকভাবে জনপ্রিয় করে তুলতে চাঁদে একটি স্থায়ী আবাসস্থলও গড়ে তুলতে চায় স্পেসএক্স। সবকিছু ঠিক থাকলে একদিন পৃথিবীর মতো হয়তো চাঁদও মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসবে।