যেভাবে আমরা গণমাধ্যমগুলোর নজরদারি থাকি

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক গণমাধ্যমগুলো ইন্টারনেটে আমাদের সকল কিছুতেই নজরদারি করছে। এই তালিকায় রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের মতো অনেক প্রতিষ্ঠান।

 

যেসব ওয়েবসাইটে বেশি যাওয়া হয় এবং যেসব অ্যাপস বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোই ব্যবহারকারীর সম্পর্কে তথ্য নিয়ে নিচ্ছে। অনেকেই এ বিষয়ে সচেতন নন। তাই অনেক মানুষই জানেন না কীভাবে নজরদারি করা হচ্ছে এবং এসব তথ্য দেখার ক্ষমতা কাদের?

 

স্নুপিং আর্সেনাল নামক এক পদ্ধতি ব্যবহার করে ইন্টারনেটে ব্যাপক নজরদারি করা হয়ে থাকে। গণহারে তথ্য সংগ্রহের কারণে এটি ইন্টারনেটে নানা কর্মকাণ্ডের ব্যাপক তথ্য মজুদ করতে পারে।

 

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহের আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে ফ্রি ইমেইল সার্ভিস। যেমন গুগলের জিমেইল ব্যবহারকারীর ইনবক্স স্ক্যান করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। তবে গত জুনে গুগল ঘোষণা দেয়, তারা এই ভাবে তথ্য সংগ্রহ বন্ধ করবে।

 

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিদ নার্সেও ভ্যালিনা রদরিগেজ এবং শ্রীকান্ত সুন্দারসানের একটি গবেষণা বলেছে, ১০টির মধ্যে ৭টি স্মার্টফোন অ্যাপস তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দিচ্ছে।

 

লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখলেও আপনি কোথায় আছেন তা খুঁজে বের করতে পারে অনেক মোবাইল অ্যাপ। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির একটি দল পরীক্ষা করে দেখেছে লোকেশন, জিপিএস এবং ওয়াইফাই বন্ধ রাখার পরও একটি মোবাইল ফোনকে ট্র্যাক করে অবস্থান বের করা সম্ভব।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক