মুজিববর্ষে মোদিকে আমন্ত্রণের কারণ জানালেন কাদের
ই- বার্তা ডেস্ক।। দিল্লি সহিংসতার পর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে অতিথি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের সঙ্গে দেশটির আভ্যন্তরীণ সংঘাত, রাজনৈতিক বিরোধ প্রসঙ্গ টেনে আনা সমীচীন হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী দেশই হলো ভারত। তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মিত্র। স্বাভাবিক কারণেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্বকারীকে আমরা বাদ দিতে পারি না। এমন ভাবনা মাথায়ও আনা যায় না।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ভারতকে মুজিববর্ষে আমন্ত্রণ করেছি। এর প্রথম ও প্রধান কারণই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। তারাই আমাদের প্রতিবেশী ও মিত্র দেশ। তাদের দেশের অভ্যন্তরের কোনো বিষয়ে যে সংঘাত, সংঘর্ষ, রাজনৈতিক বিরোধ- এটা চিন্তা করে তো আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি। ’
ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলমান বিক্ষোভকে দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাত মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সেই সংঘাত নিয়ে আমাদের এখানে কোনো প্রতিক্রিয়া হলে তা আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি। কিন্তু এ রকম একটা অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার যুদ্ধে সহযোগিতাকারী প্রধান দেশকে আমরা বাদ দেব- এটাতো চিন্তাও করা যায় না।’
মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতি নিয়ে সরকার আর বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কটা সুখকর নয়। ভারতেও এখন তেমনটাই ঘটছে। তাই বলে সেই বিষয় তো অন্যদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব আসার কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ বাংলাদেশের জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়। অনেক আগে থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের শরণার্থীদের সাহায্য করেছে। ভারতই আমাদের অস্ত্র ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনারা অংশ নিয়েছে। সে হিসেবে আমাদের রক্তের সঙ্গে ভারতের রক্ত মিশে আছে। কাজেই ভারতকে এই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো তো কৃতঘ্নতার পরিচয় বলে মনে করি আমি।’