পরীমনির মাদক মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত
ই-বার্তা ডেস্ক ।। মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। অপর দু’আসামি হলেন, আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
আজ রোববারর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর আদালত মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এদিন পরীমনির আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলোখায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় তিনি প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত অপর দু’জন হলেন, আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এ নায়িকা। গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দু’সহযোগিকে একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদি হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগি দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড এবং পরে আরও দু’দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। তিনি বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ দিতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি চলচ্চিত্র ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।