অপ্রাপ্তি

আয়তকুঞ্জ দুটি নয়ন, কালো কালো ভ্রু জুগল, টানা টানা দুটি চোখের ঢলমল চাহনি মন প্রাণ যেন কারিয়া নেয়। রেশমি কালো চুলগুলো হালকা রোদে চিকচিক করে। মিষ্টি মিষ্টি করে যখন কথা বলে শব্দগুলো বাতাসে ভেসে গিয়ে যেন দোল খায়। মেয়েটির মুখের দিকে তাকালেই রঙিন এক আভায় চোখ যেন প্রাণ ফিরে পায়। শরীরের গড়নে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা সুন্দর, সুশ্রী, ও সাধারণ মেয়ে শ্যামা চুম্বকের চেয়ে্ও অনেক গুণ বেশি শক্তিতে কাছে টানে দিপুকে। এসএসসি পরিক্ষার আগে বন্ধু কাজলের বোনের বিয়েতে শ্যামার সাথে প্রথম দেখা হয় দিপুর। কথা হয় দুজনের। সেদিনই, মনে মনে প্রেমের সাগরে শ্যামাকে নিয়ে ভেলা ভাসায় দিপু। কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে শ্যামা কে দেখে রীতিমতো অবাক হয় ছেলেটি। ভাবতেই পারেনি, স্বপ্নের রাজকুমারীকে সহপাঠী হিসেবে পেয়ে যাবে। এরপর ক্লাসের ফাকে ফাকে কথা চলে, হয় অনেক গল্প। শ্যামারও ভালো লেগে যায় দিপুকে। প্রেমের স্টেশনে পজিটিভ সিগন্যাল পাওযার পরেই শ্যামাকে মনের মণিকুঠায় বসিয়ে দিনের আলোতেই স্বপ্নে হারিয়ে যায় ধনীর আদরের দুলাল দিপু। ভালবাসা নামক শব্দে আবব্ধ হয়ে যায় দুটি প্রাণ। প্রথম যৌবনের রঙ ছাড়াতেই পাগলের মতো প্রেমে মজে যায় এ জুটি।

সোনালী শাড়ির সাথে গোল্ডেন কালার ব্লাউজ পড়েছে শ্যামা। কপালের টিপ, হাতের রেশমি চুরি, গলার মালা, কানের দুল, হাতের আংটি, পায়ের সান্ডেল এমনকি হাতের ব্যাগটিও বেশ ম্যাচিং হয়েছে। কলেজের পুকুর পাড়ে শ্যামার জন্য অপেক্ষা করছিল দিপু। শ্যামা রিক্সা থেকে নামতেই চোখে যেন আগুনের ঝিলিক লাগে দিপুর। আসমান থেতে যেন স্বয়ং হুর নেমে এসেছে দিপুর সাথে ডেট করতে। দিপু বাইক স্টার্ট করতেই পেছনে চেপে বসে দিপুর কাধে হাত রাখে শ্যামা। দিপুর এত কাছে এর আগে কখনো আসেনি শ্যামা। প্রিয়তমা প্রেমিকা এত কাছে আসায় এক শীতল বাতাস যেন বয়ে যায় দিপুর শরীরে, অবেশ হয়ে যায় মন। তবে হাত-পায়ে যেটুকু বল ছিল সেটুকুতেই বাইকের হান্ডেল শক্ত করে ধরে স্পিড বাড়াতে থাকে দিপু। হেলে-দুলে চলতে শুরু করলেই পেছন থেকে দিপুকে শক্ত করে চেপে ধরে শ্যামা। শ্যামা বলেই ফেলে, আরও জোরে চালাও, আরো জোরে! মুক্ত বিহঙ্গে দুটি পাখি ডানা মেলে যেন ছুটে চলেছে কোনো অচেনা গন্তব্যে। পিচঢালা সরু রাস্তায় বামে মোড় নিতেই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রিক্সায় হালকা লেগে যায় দিপুর বাইক। থেমে যায় চলন্ত বাইকের গতি, পড়ে যায় শ্যামা। কপাল ফেটে যায় মেয়েটির। দিপু শ্যামাকে তুলে কপালের রক্ত মুছে দিতেই শ্যামার চোখ চলে যায় সামনের দিকে। একটি লোক ঝড়ের গতিতে অগ্নি মূর্তিতে তার দিকে ধেয়ে আসছে। বাবা তুমি বলতেই, ঠাস করে একটা থাপ্পর পড়লো ওর গালে। বদমাইশ, আমি রিক্সা চালাই তোমার ঝোলা ভরার জন্য আর তুমি পড়ালেখার নামে বড়লোকের ছেলের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে বেড়াও। আর না, অনেক হইছে তোর পড়াশোনা, চল, আজকেই তোর বিয়ে দিয়ে দিবো। এসব বলতে বলতে, শ্যামাকে নিয়ে চলে গেল ওর বাবা। এদিকে, দিপুর মুখ থেকে হ্যা, না, কিচ্ছু বের হচ্ছে না। যেন বরফের একটি পিন্ড হয়ে গেছে দিপু নামের ছেলেটি।

শ্যামা-দিপুর মেলামেশা নিয়ে এলাকায় তুমুল হইচই পড়ে যায়। কিন্তু কোথায় আসমান আর কোথায় জমিন। লোকে বলে, সমানে সমান না হলে নাকি সৌহার্দ্য হয় না। দিপুর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে বিয়ে তো দূরের কথা বরং মেয়েকে লেলিয়ে দিয়েছো আমাদের ছেলেকে ফাসানোর জন্য টাইপের কথা শুনে তীব্র অপমান হয়ে ফিরে আসতে হয় শ্যামার বাবাকে। এসব সহ্য করতে না পেরে, বুড়ো ভাম, ডিম রফিকের সাথেই শ্যামার বিয়ে দিয়ে দেয় অসহায় রিক্সাচালক বাবা।

বয়সের সাথে সাথে টাকা-পয়সাও বেড়েছে ডিম রফিকের। না পাওয়ার মধ্যে একটা সুন্দরী বউ-ই ছিল। সে বাসনাও পূরণ হলো শ্যামাকে পেয়ে। কিছুদিন কান্নাকাটি করে শ্যামাও মেনে নিল ডিম রফিকের ভালবাসা। ধ্যান-জ্ঞান সব সংসারে দিয়ে দিল শ্যামা। ধীরে ধীরে আরও সুন্দর হয়ে উঠলো ওদের সম্পর্ক। একটা আইসক্রিমের এক কামড় শ্যামা খায় আরেক কামড় খায় ডিম রফিক। এরকম গভীর ভালবাসায়, তিন-চার বছর কেটে যায় কিন্তু সংসারে আলো আসে না। একটা বাচ্চার জন্য ডাক্তার, কবিরাজ, ফকির, দরবেশ কোথাও যাওয়া বাদ নাই তাদের। যে যা বলে তাই করে কিন্তু বাচ্চা আর হয় না। এভাবে সংসারে অশান্তি দানা বাধতে থাকে। পাল্টাপাল্টি উঠে দোষারোপের আঙুল। ডিম রফিক বলে তোমার সমস্যার জন্য বাচ্চা হয় না, শ্যামা বলে আমার না, তোমার ইয়েতেই সমস্যা। মাঝেমাঝে ঝগড়ার রোল উঠে যায়, বাচ্চা বাচ্চা করে।
এদিকে, পাশের বাড়ির পিয়াল আর মাধুরির তিনটা বাচ্চা কিন্তু বাড়িতে শান্তি বলে কিছু নেই। অভাব-অনাটন যেন কুড়ে কুড়ে খায় তাদের। বউ, দুই মেয়ে, এক ছেলে আর বৃদ্ধা মা সবার মুখের আহার পিয়ালের এক পান-সিগারেটের দোকান থেকেই আসে। এই দোকানোর রোজগার থেকে পিয়াল আবার বাটা কাটে নেশার টাকার। নেশা না করলে একদিনও চলে না মাদকাসক্ত পিয়ালের। যেদিন ডোজ বেশি পড়ে সেদিন আর দোকান-টোকানের হুস থাকেনা পিয়ালের। কিসের বাজার-সদায়, কিসের খাওয়া-দাওয়া, কিসের বাচ্চা-কাচ্চা, কিসের ঘর-সংসার সবকিছু ফিকে হয়ে যায় নেশার ঘোরে। মাদকের মরণ কামড়ে জিন্দা লাশ হয়ে ঘরে পড়ে থাকে পিয়াল। কিন্তু বাচ্চাদের হাউমাউ দেখে আর ঘরে বসে থাকতে পারেনা মাধুরি। তাদের মুখে দানা পানি দেওয়ার জন্য এ বাড়ি ও বাড়ি টাকা ধারের জন্য ছোটাছুটি শুরু করে দেয় মাধুরি। মাধুরির বাচ্চাদের খুব পছন্দ করে শ্যামা। তাই ডিম রফিকের বাড়িতে গেলে কোনো সময় খালি হাতে ফিরতে হয়না মাধুরিকে।
গল্প, কথায় অথবা প্রয়োজনে শ্যামার বাড়িতে যাতায়াত করতে করতে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে মাধুরির। এভাবে ডিম রফিকের সাথেও সখ্যতা হয়ে যায় মাধুরির। শ্যামা তো একদিন বলেই ফেলে, তোমাদের তো কোনো সমস্যা নাই, আমাদের একটা বাচ্চা দাওনা তোমরা। গর্ভ থেকে জন্ম প্রর্যন্ত সব খরচ আমাদের। আর তোমরা যদি চাও তবে এক লাখ টাকাও দিবো। এসব শুনে কিছু না বলেই সেদিন চলে যায় মাধুরি। মন খারাপ হলে কি হবে, অভাবতো আর পিছু ছাড়ে না। নেশাখোর স্বামীর সংসারে কোনো ভূত-ভবিষৎ না দেখে একদিন পিয়ালকে বলেই ফেলে, শ্যামা ভাবিরা একটা বাচ্চা চায়, খরচ-খরচা সব দিবে সাথে এক লাখ টাকা। টাকার কথা শুনে পিয়ালকে আর পায় কে। সামনে-পিছনে কিছু চিন্তা না করেই রাজি হয়ে যায় পিয়াল। বাচ্চা পিয়াল-মাধুরির, টাকা পয়সা ডিম রফিকের, আর মা হবে শ্যামা। পিয়াল ও মাধুরির সম্মতির খবরে শান্তি ফিরে আসে শ্যামার সংসারে। চলতে থাকে প্রস্তুতি, দুটি পরিবার মিলে যেন এক হয়ে যায়। মাধুরি প্রেগনেন্ট হয়ে যায়। মাধুরির যত যত্ন নেয়া যাবে, সন্তানের স্বাস্থ্য তত ভালো হবে। মাধুরির খাতির-যত্নে লেগে থাকে শ্যামা আর ডিম রফিক। শ্যামার অনুপস্থিতে মাঝে মাঝে মাধুরির সাথে খুব গল্প জমায় ডিম রফিক। গল্পে গল্পে ডিম রফিকের সাথে হালকা ভাব হয়ে যায় মাধুরির। খুব ভালোভাবেই পৃথিবীতে আসে পিয়াল আর মাধুরির চতুর্থ সন্তান। কিছুদিন বাচ্চা লালন-পালন করে, শ্যামাদের বাচ্চা দিয়ে দেয় মাধুরি। ওয়াদা অনুযায়ী, এক লাখ টাকা পেয়ে যায় মাধুরি-পিয়াল। টাকা পেয়ে কিছুদিন ভালোই চলে মাধুরির সংসার। তবে, বাঁধ সাধে মাদক। পিয়াল চরমআকারে আবার নেশা করে শুরু করে। একদিন ওভারডোজ হয়ে যায়। অনেক ডাকাডাকি করে কেউ আর কোনোভাবে জাগাতে পারেনা পিয়ালকে। পরে, ডাক্তার নিয়ে আসলে পিয়ালকে মৃত ঘোষণা করে। কান্নায় ভেঙ্গে পরে পিয়ালের বৃদ্ধা মা, বউ-বাচ্চা। তিন সন্তান ও বৃদ্ধা শাশুরিকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে মাধুরি। নিজের ঘরে বিভিন্ন হাতের কাজ আর শ্যামাদের বাড়ির যাবতীয় কাজ করে দানাপানি খেয়ে কোনোমতে দিনাতিপাত শুরু করে মাধুরি। এ সুযোগে, মাধুরিকে ফ্রি পাইলেই মনের ভাবের আদান-প্রদান শুরু করে দেয় ডিম রফিক। স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা মাধুরি ডিম রফিকের গল্পে যেন প্রাণ ফিরে পায়। যৌবনের তীব্র ক্ষুধায় বিবেক-বুদ্ধি জলাঞ্জলি দিয়ে গভীর জলে ডুব দিয়ে তলে তলে পানি খাওয়া শুরু করে মাধুরি আর ডিম রফিক। কয়েক মাস পর থেকেই বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে মাধুরি। এবার বিবেক জেগে ওঠে ডিম রফিকের, জাগ্রত বিবেকের তাড়নায় মাধুরিকে লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলে ডিম রফিক।
কিন্তু এভাবে আর কত দিন। লুকিয়ে লুকিয়ে আর ভালো লাগেনা মাধুরির। এবার রাজা-রাজ্যের দখল চাই মাধুরির। তাই স্পষ্ট্য ডিম রফিককে জানিয়ে দেয়, শ্যামাকে ডিভোর্স না দিলে, শ্যামাকে না জানালে, সে-ই জানিয়ে দেবে সে ডিম রফিকের দিত্বীয় বউ। এভাবে গিয়েই ডিম রফিকের বাড়িতে উঠবে মাধুরি, দখল নিয়ে নিবে বাড়ির। শ্যামার সাথে ঝগড়াঝাটি, মারিমারি এমনকি খুনোখুনি হলেও হবে, তবু ডিম রফিকের সংসারে ঠিকানা চায় মাধুরি। মাধুরির বলতে দেরি কিন্তু শ্যামাকে ডিভোর্স দিতে দেরি করলো না ডিম রফিক। তালাকের কাগজ হাতে পেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়লো শ্যামা। সব জানার পরে শ্যামা বুঝতে পারলো, দুধ-কলা খাইয়ে সেই কাল-সাপ বড় করেছে সে নিজেই। রাগ, ক্ষোভ, যন্ত্রণায় বিশুদ্ধ বাতাস বিষাক্ত ঠেকতে লাগল শ্যামার বুকের ভেতর। হু হু করে কেদে উঠল শ্যামা। জলজলে রোদে সবকিছু যেন অন্ধকার লাগছে, দু-চোখের পানি ঝর ঝর করে পড়েছে শ্যামার। এ জীবন আর রাখা যায় না, এ জীবন রেখে আর কি লাভ বলতে বলতে বুক ফাটা কান্নায় দৌড়ে গিয়ে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল শ্যামা। বউয়ের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই নতুন বউ ঘরে তুলল ডিম রফিক। ছোট তিন সন্তানকে বৃদ্ধা শাশুরির কাছে রেখেই পিয়ালের ঘর ছেড়ে উঠলো ডিম রফিকের ঘরে। যেন কিছুই হয়নি টাইপের ভাব ধরে, ডিম রফিকের সংসারে রাজ করতে থাকলো মাধুরি। কষ্টের দিন শেষ, এখন শুধু সুখ আর সুখ, মাধুরির জীবনে। আর যার যা হয় হোক, কে কোথায় কেমন আছে দেখার টাইম নাই তার। এদিকে, শহরে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিম রফিকের আনন্দ দেখে কে! নতুন বউয়ের কাছে বিদায় নিয়ে ডিমের গাড়িতে শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ডিম রফিক। ডিমের গাড়ি শহরের দিকে চলতে চলতে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে চালক। স্টিয়ারিং ছেড়ে লাফ দেয় ড্রাইভার, চলন্ত গাড়ি সড়কের পাশের গাছে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে খাদে পড়ে যায়। চরম আঘাতে পিষে যায় ডিম রফিক, ফেটে যায় ডিম। ডিমের কুসুমের সাথে ডিম রফিকের রক্ত মিশে ছড়িয়ে পড়ে খাদজুড়ে।
ওদিকে, বড়লোকের ছেলে দিপু বিয়ে করেছে ধনীর আদরের দুলালী শ্রাবন্তিকে। সুন্দরী বউ, অঢেল টাকা পয়সা কি নেই দিপুর সংসারে। বিয়ে করেই বউকে নিয়ে দেশ-বিদেশ ঘুরেছে। সোনা, গয়না, বাড়ি, গাড়ি বউয়ের খুশির জন্য এমন কিছু নেই করেনি। এতকিছু করেও সুখ নেই দিপুর সংসারে। দিপু বুঝতে পারে, সবকিছু থাকার পরেও কি যেন নেই তার। কিন্তু শরীরের সুখ-ই কি সব নাকি? বিলাসী, আয়েসী জীবন হলে ওসবের কি দরকার? এসব মনে মনে ভেবে শ্রাবন্তিকে কিছু না বলে চুপ করে থাকে দিপু। আর বললেই কি, শ্রাবন্তিতো দিপুর কথাই শোনে না। বউ চলে গেলে সমাজে মুখ দেখাবে কি করে ভেবে, বিশাল শরীর নিয়েও শ্রাবন্তির কাছে গেলে তাই মিউ মিউ করে কথা বলে দিপু। এদিকে, স্বামীর দুর্বলতা টের পেয়ে বাসায় কাজের ছেলেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বশ করে ফেলে শ্রাবন্তী। একটু সুখের জন্য এতটা নিচে নামতে দ্বিধা করেনা শ্রাবন্তি। কিন্তু সাঙ্গলীলা ভঙ্গ হয়ে যায় দিপু যখন শ্রাবন্তির অনুপস্থিতে তার ঘরে লাগানো গোপন ক্যামেরার ফুটেজ চেক করতে যায়। রক্তে আগুন ধরে যায় দিপুর। লাইসেন্স করা পিস্তলে গুলি লোড করে বাজারের দিকে ছুটতে থাকে দিপু। শ্রাবন্তিকে দেখেই, পিস্তল উচিয়ে তাক করে শ্রাবন্তির মাথার দিকে। তোর মত দুশ্চরিত্র মেয়ের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই, বলেই, গুলি ছুড়ে দিপু। গুলি ছুড়তেই বসে পড়ে শ্রাবন্তি, মাথায় গুলি লেগে মাটিতে ঢলে পড়ে শ্রাবন্তির ঠিক পেছনে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটি। পালিয়ে যায় শ্রাবন্তী। লোকজন দিপুকে ধরে পুলিশে দেয়। গুলিবিদ্ধ লাশের পরিচয় কেউ জানে কিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী জানতে চাইলে, একজন বলে, উনাকে কে চিনেনা, উনি ডিম রফিকের বউ, মাধুরি।

লেখকঃ তারিকুল হাসান, সাংবাদিক