বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪: গণিত প্রতিভার মহোৎসব
ই-বার্তা ।। ‘গণিত হোক আনন্দের’ এই স্লোগানে গত ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসইউ) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
বিএমটিসি-২০২৪ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন। তিনি উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রহিমআফরোজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ রহিম। তিনি অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করেন এবং তরুণ মেধার বিকাশে এ ধরনের প্রতিযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গণিতবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি শিক্ষার্থীদের গণিত শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং তাদেরকে উৎকর্ষ সাধনের জন্য উৎসাহিত করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। তিনি এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার এবং শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদ এ জাহান ও হরগঙ্গা সরকারী কলেজ, মুন্সীগঞ্জের সহযোগী অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম।বাংলার ম্যাথের চলমান প্রোগ্রাম ও বিএমটিসি ২০২৪-এর পুরো কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন বাংলার ম্যাথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ শাহরিয়ার, মাহতাব হোসেন এবং আশরাফুল আল শাকুর এবং উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারী, শিক্ষক ও অভিভাবককে ধন্যবাদ জানান।
প্রতিযোগিতায় জুনিয়র, ইন্টারমিডিয়েট এবং অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরিতে মোট ১০১ জন বিজয়ী হয়েছেন। টিম রাউন্ডে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ৫টি দল, ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে ১০টি দল এবং অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরিতে ৩টি দল বিজয়ী হয়।
বাংলার ম্যাথের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেন্যু সহযোগিতায় আয়োজিত বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ শিক্ষার্থীদের গণিত দক্ষতা প্রদর্শন এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অংশগ্রহণের একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে। আয়োজক বৃন্দ আশা রাখে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের তরুণ গণিতবিদদের অনুপ্রাণিত করতে এই উৎসবটি ভবিষ্যতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।