‘ডেডপুল ২’ এ রায়ানই যথাযথ
ই-বার্তা।। ‘অ্যাভেঞ্জারস ইনফিনিটি ওয়ার’ দেখে যারা কেঁদেছেন এবার তাঁদের হাসাতে এলেন ডেডপুল৷ ভিলেনের হাত থেকে দেশ বাঁচানো বা পৃথিবী বাঁচানোর মতো ভারি কাজ নয়, বরং একটি বাচ্চা ছেলেকে বাঁচানোর দায়িত্ব পায় এই আমেরিকান সুপারহিরো৷ তবে পরিচালক ডেভিড লিচ এবং অভিনেতা রায়ান রেনল্ডসের কাছে কিন্তু গুরুদায়িত্ব ছিল ডেডপুলের ফ্যানদের হতাশ না করা৷
দু’বছর আগে প্রথম পর্ব রিলিজের পর ডেডপুলের আলাদা ফ্যানবেস তৈরী হয়েছিল৷ সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডেডপুল ২’ কিন্তু এবার প্রমাণ করে দিল যে ডেভিড এবং রায়ান ছাড়া এই সিরিজ আর কেউ করতে পারবেন না৷
এবার আসা যাক গল্পে৷ ছবির প্রথমদিকে দেখা যায় ডেডপুল(রায়ান রেনল্ডস) তাঁর গার্লফ্রেন্ড ভেনেসা(মোনিকা বেকারিন) জীবিত, অনেকেই প্রথম পর্ব দেখে যারা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে ভেনেসা মারা গেছে৷ কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে তিনি কামব্যাক করেন৷ এই পার্টে ছবির নায়ককে মোটিভ্যেট করার অন্যতম কারিগর কিন্তু ভেনেসাই৷
এই পর্বের মেন ভিলেন কেবিল(জোস ব্রোলিন) একটি রুসেল কলিন(জুলিয়ন ডেনিসন) নামে ইয়ং মিউনিককে কিডন্যাপ করার চেষ্টা করেন৷ তাঁকে বাঁচাতে এবং কেবিলকে আটকাতে একটি এক্স-ফোর্স নামে একটা টিম বানায় ডেডপুল৷ এই টিম রুসেলকে কেবিলের হাত থেকে বাঁচাতে পারে কিনা তা জানতে রিভিউ নয়, হলে গিয়ে দেখে আসুন ‘ডেডপুল ২’৷
রায়ানের অভিনয় নিয়ে নতুনভাবে কিছুই বলার নেই৷ এই পার্টটা দেখার পর তাঁকে ছাড়া ডেডপুলে আর কারোর কথা ভাবা যাবে৷ অন্যদিকে জোস ব্রোলিন এক কথায় অসাধারণ৷
যারা অ্যাভেঞ্জার দেখে থ্যানোস ভক্ত হয়েছেন, তাঁরা এবার কেবিলেরও ভক্ত হয়ে পড়বেন৷ ভেনেসা চরিত্রে মোনিকা অসম্ভব ভালো অভিনয় করেছেন৷ অন্যদিকে রুসেল ইয়ং মিউনিক চরিত্রে যথাযথ৷ তবে ছবিতে রায়ান ছাড়াও আরেকজনের অভিনয় বেশ নজর কেড়েছে, তিনি হলেন করণ সোনি অর্থাৎ দোপিন্দর৷ অসম্ভব ভালো তাঁর কমেডি টাইমিং৷
যেখানে সারা বিশ্ব অ্যাভেঞ্জারসের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে৷ সেখান থেকে ডেডপুলে সকলের দৃষ্টিপাত করানোটা সত্যিই চাপের ছিল৷ কিন্তু এদিক থেকে তিনি সফল৷ ভিএফএক্স ডিপার্টমেন্টের ওপর গুরুদায়িত্ব ছিল সিনেমাটির দাঁড় করানো৷ সেইদিক থেকেও সফলভাবে উতড়ে গেছেন তাঁরা৷ সব মিলিয়ে হলিউডের মশালাদার সুপারহিরো ফিল্ম হল ডেডপুল ২৷ ফ্রি-টাইম কাজে লাগানোর জন্য এর থেকে বেটার মুভি আর কিছুই হতে পারে না৷
সুত্রঃ কলকাতা ২৪