বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়ার এমবাপ্পে

স্পোর্টস ডেস্ক।। জাতীয় দলের হয়েও জায়গা পেয়েই ভালো খেলেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপ তো অন্য জিনিস। গমগমে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের মধ্যে এসে অনেক তরুণই তো খেই হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপে খেলতে আসা। কিংবা স্পট লাইনে থাকাটা এমবাপ্পের কাছে যেন কোন চাপই মনে হলো না। সেরাদের সাথে লড়ে গেছেন সমান তালে ।

পিএসজির হয়ে ধারুণ সময় কাটিয়েছেন ফ্রান্সের এই ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।  গ্রুপ পর্বের  তিন ম্যাচে এক গোল এবং এক গোলে সহায়তা দেন এমবাপ্পে। তখন পর্যন্ত সাদা-মাটাই ছিলেন তরুণতুর্কী এমবাপ্পে। কিন্তু পিএসজি তারকার সব প্রতিভা যেন ঠিকরে বের হলো আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। দারুণ দুই গোল করে এবং পেনাল্টি থেকে এক গোল আদায় করেন এমবাপ্পে। এরপর নক আউট পর্বের আর দুই ম্যাচে অবশ্য গোল পাননি এমবাপ্পে। তবে দলের হয়ে এক গোলে অবদান রাখেন। তার থেকে বড় কথা তিনি তার গতি দিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ব্যস্ত করে রাখেন।

 

রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা যে ওপরে এসে আক্রমণে সহায়তা করবেন তা এমবাপ্পের জন্য যেন সম্ভবই না। প্রথম চার ম্যাচে তিন গোল করে তো গোল্ডেন বুটের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নিয়ে আসেন নিজেকে। এরপর গোল্ডেন বল তথা বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে হয়ে ওঠেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে দারুণ এক গোল করে গোল্ডেন বলের দাবিটাও আরও জোরালো করেন।

 

১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর পেলের পর মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করারও কৃতিত্ব গড়েন। তবে এমবাপ্পে পেলেন না বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের খেতাবটা। যারা পুরস্কারটা নির্ধারণ করেছেন তারা হয়তো ভেবেছেন, বাছা তোমার এখনো ডের সময় বাকি আছে। তবে সেরা উদীয়মান পুরস্কারটা তার থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার আর কেউ ধারে কাছেও ছিল না। রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকার পুরস্কারটা কিলিয়ান এমবাপ্পের হাতেই উঠেছে।

 

 

ই-বার্তা/স্পোর্টস ডেস্ক