পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৯ই মে ২০১৭, মঙ্গলবার
| বিকাল ০৩:২৩
বিশেষ প্রতিবেদন
ই-বার্তা।। স্বনামধন্য দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
প্রয়াত এই বিজ্ঞানীর ভাতিজা ও পীরগঞ্জ উপজেলা পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পীরগঞ্জের লালদীঘির ফতেহপুরে জয়সদনে প্রয়াত বিজ্ঞানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হবে। সকালে ফতেহপুরের জয়সদন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের পর গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। বিকালে উপজেলা সদরে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজ্ঞানীর স্মৃতিচারণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ড. ওয়াজেদ মিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
এছাড়া রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলো দোয়া-মিলাদ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিকাল চারটায় ১৯, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। বাণীতে তিনি বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতিতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার অবদান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া মৌলিক মিথস্ক্রিয়া এবং কণা পদার্থবিজ্ঞান, অনু এবং পারমাণবিক চুল্লী, সলিড স্টেট ফিজিক্স, তড়িত্চু ম্বকত্ব, স্বাস্থ্য ও বিকিরণ পদার্থবিদ্যা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ক্ষেত্রে গবেষণা করেন। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।
বিশিষ্ট এই পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বিশিষ্ট কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
পিতা মরহুম আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতা মরহুমা ময়জুনেসার চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিও পীরগঞ্জ থানার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে তিনি ১৯৫২ সালে রংপুর শহরের সরকারি জিলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন।
১৯৫৬ সালে ওই স্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-’৬২ শিক্ষাবর্ষে হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষা বছরে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে পদস্থ করা হয়।
ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
আগের খবর রমজানে অফিসের নতুন সময়সূচি
পরবর্তী খবর আজ সৌভাগ্যের রজনী