ছাত্রদল কর্মী এখন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২১শে জুন ২০১৭, বুধবার
| বিকাল ০৩:২৯
রাজনীতি
ই-বার্তা ।। এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সংগঠনটি বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে সাহসী ভূমিকা পালনে ইতিহাসের পাতায় যায়গা করে নিয়েছে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।অন্যান্য ছাত্রসংগঠন গুলোর মধ্যে সুনাম ও ঐতিহ্যে সবার আগে স্থান পেলেও বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাভোগীরা ভিড়ছে বলে গুঞ্জন উঠে। সম্প্রতি এমনি একটি তথ্য হাতে এসে পৌঁছালে অনুসন্ধানকরে ঘটনার সত্যতা প্রমাণে মাঠে নামে।অনুসন্ধানী রিপোর্টে বেরিয়ে আসে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক ইমরানুল হক আপেল(কথিত ছাত্রদল নেতা) যার পূর্ববর্তী পরিচয় ছাত্রদলের কর্মী। এই দাবি তুলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের একজন প্রভাবশালী সদস্য(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ছাত্রদল নেতা বলেন আপেল ছিলো একজন নির্ভিক সাহসী জিয়ার সৈনিক।তিঁনি তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, "জিয়ার সৈনিকেরাই বর্তমান ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের জিয়ার সৈনিক গত ৫ জানুয়ারী যে স্বৈরাচারী সরকারের পতনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল সেই ইমরানুল হক আপেল আজ আপনাদের ছাত্রলীগের সম্পাদকীয় পোস্ট ক্যারি করছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘হ্যাঁ কি ভিত্তিতে এসব কথা বলছি? ছাত্রদলে আপেলের পদবী কি? আরে ভাই শুনেন পদবী থাকতে হয়না আমাদের কর্মীরা নেতাদের চেয়ে
সক্রিয়। তিনি দাবি করে বলেন, আপেল আমাদের কর্মী ছিল। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর সকল প্রোগ্রামে-মিছিল-মিঠিং এ সরব উপস্থিতি ছিল। তিনি তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই ও দাবি করেন, যে আপেল বিএনপি এর একজন সাহসী নেতা। জিয়ার আদর্শের নেতা।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কোন অদৃশ্যকারণে জিয়ার আদর্শের নেতা এখন ছাত্রলীগের সম্পাদক হয়ে জিয়ার আদর্শকে কুলষিত করছে? এরই ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগে নেতার ঘাটতি আছে জানতাম কিন্তু জানতাম না যে যখন যে দল সে দলে গিয়ে যে নিজেকে বাঁচানো এতটা সহজ।’ আমাদের দল ক্ষমতায় আসলে এমন আপেলরা ফিরে আসবে অতিথি পাখির মত" বলেও দাবি করেন তিনি।
এই কথার ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) ঈসমাইল সাজ্জাোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এমন কোন তথ্য আমাদের জানা নাই। তবে তথ্য প্রমাণ হাতে পেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’
পরবর্তীতে তথ্য প্রমাণ সহকারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিঁনি কথা বলতে রাজী হননি।
এ বিষয়ে জানতে, জেলা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) মোর্শেদ হোসাইন তানিম কে ফোন করা হলেও, তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের একজন নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিঁনি এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজী হননি। তবে তিনি বলেছেন, অনেক লোকমুখে আমিও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনেছিলাম।