ভয় আতংঙ্ক জয় করে লাখো মুসল্লি এক জামাতে


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৬শে জুন ২০১৭, সোমবার  | দুপুর ১২:২৫ ময়মনসিংহ

ই-বার্তা ।। গত বছর জঙ্গি হামলা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বিঘ্নে। এতে ভয় উপেক্ষা করে অংশ নিয়েছেন লাখো মানুষ। তারা বেশিরভাগই এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে।

মুসুল্লির দল বেঁধে ময়দানে হাজির হয়ে সকল ধরনের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। ইসলামে শান্তি ও সাম্যের দর্শন যে এখনো অটুট সেটি প্রমাণ করেছে জনগণ।

সোমবার কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব প্রান্তে বিশাল ঈদগাহ ময়দানে সকাল ১০টার কিছু পর শুরু হয় জামাত। ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর পাঁচ মিনিট আগে ৩টি, তিন মিনিট আগে ২টি ও এক মিনিট আগে ১টি বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে সমবেত মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতির জন্য সংকেত দেয়া হয়।

ভোর থেকেই কিশোরগঞ্জ শহর ও আশেপাশের গ্রাম ও উপজেলা থেকে হাজারো মানুষের স্রোত ছিল শোলাকিয়ামুখি। দুটি বিশেষ ট্রেনে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে আসে হাজারো জনগণ। দূরের জেলা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নিতে আসেন কয়েক দিন আগেই।

জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।

এক বছর আগের জঙ্গি হামলার কারণে এবার ঈদ জামাতকে ঘিরে নিরাপত্তায় ছিল কড়াকড়ি। এবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে জেলার সব পুলিশ সদস্যের।

গত বছরের ৭ জুলাই শোলাকিয়ার জামাতের প্রবেশপথ আজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হঠাৎ হামলা হয়। দুই জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুঁড়ে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আনসারুল ও জহিরুল নামে ২ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে মারা যায় হামলাকারী আবির রহমান। পরে জঙ্গি-পুলিশ গোলাগুলির সময় নিজ ঘরে গুলিবিদ্ধ হযে মারা যান গৃহবধু ঝরনা রাণী ভৌমিক। তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে এখনও রয়ে গেছে শোকের রেশ।

সর্বশেষ সংবাদ

ময়মনসিংহ এর আরও সংবাদ