চিয়াং মাই, থাইল্যান্ডে ইউল্যাব বাংলাদেশ
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৫ই এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
| বিকাল ০৪:৪২
বিশ্ববিদ্যালয়
ই-বার্তা প্রতিবেদক।। সেন্টার ফর ল্যাংগুয়েজ স্টাডিজ (সিএলএস) এর ব্যানারে চিয়াং মাই ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ড- এ ১৩ দিনের শিক্ষা সফর শেষে বাংলাদেশে ফিরে গত ৩ এপ্রিল, ২০১৭ সোমবার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর দশ জন শিক্ষার্থি তাদের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন ইউল্যাব ক্যাম্পাসে। সেসময় তাঁদের সাথে উপস্থিত ছিলেন পুরো সফরের নেতৃত্তে থাকা ইউল্যাবের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও সিএলএস এর ডিরেক্টর এটিএম সাজেদুল হক এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর শাহিন-আরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা প্রতিদিন থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী প্রধান প্রধান বৌদ্ধ মন্দির এবং যাদুঘর ভ্রমণের পাশাপাশি প্রশিক্ষন নেন থাই ভাষা, থাই রান্না, ঐতিহ্যবাহী থাই নৃত্য, মুয়ায় থাই কিকবক্সিং,ইংলিশ ওরাল প্রেসেন্টশন এবং মাহুত চালনার উপর। এছাড়া চিয়াং মাই এর পাহাড়ি আদিবাসী মানুষদের জীবন যাপনের সাথেও পরিচিত করানো হয় ইউল্যাব দল কে। অভিজ্ঞতা জানানোর সময় থাই ভাষায় ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা একটি কথোপকথন পরিবেশনা করেন।
সাজেদুল হক জানান,ইউল্যাব শিক্ষার্থিদের নিয়ে যাওয়া হয় চিয়াং মাই এর অন্যতম আকর্ষন তিনশত বছরের পুরনো "চিয়াং দাও কেইভ", যেখানে ছোট বড় প্রায় একশটি গুহা মিলিত হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত চিয়াং মাই এর সর্বচ্চো বৌদ্ধ মন্দির এবং থাইল্যান্ডের রাজা-রানীর রয়্যাল প্যালেসে ভ্রমণের সুযোগ পায় তারা।তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ দিন ইউল্যাব দল ভ্রমণ করে থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ চুড়া "দোই ইন্থানন ন্যাশনাল পার্ক" যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৬৩৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।এছাড়াও থাইল্যান্ড এর অন্যতম বিখ্যাত ঝর্না দেখার সুযোগ পায় তারা।
স্বীকৃতি স্বরূপ ইউল্যাব এর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হয় সনদপত্র।
ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের মতে, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ এই দুই দেশের সংস্কৃতিতে যেমনি রয়েছে পার্থক্য তেমনি রয়েছে অনেক মিল।একেক দিনের অভিজ্ঞতা তাদের নতুন ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। অন্য দেশের সংস্কৃতি জানতে গিয়ে তারা নিজের দেশের সংস্কৃতিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছে।তারা চায় তাদের মত অন্যান্য দেশের তরুণেরাও বাংলাদেশে এসে এদেশের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হোক।কারণ বাংলাদেশ ও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
ইউল্যাব দল থাইল্যান্ড এ পাড়ি জমায় গত ১১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে এবং দেশে ফিরে আসে ২৩-০১-২০১৭ তারিখে।তের দিনের এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পারষ্পরিক সংস্কৃতি বিনিময়।