ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় মা মেয়েকে ন্যাড়া করলো তুফান বাহিনী
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৩০শে জুলাই ২০১৭, রবিবার
| সকাল ১১:১২
অপরাধ
ই-বার্তা ।। বগুড়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’ এক কিশোরী ও তার মার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযীগে বলা হয়, বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক, তুফান সরকার স্ত্রী-সন্তান বাসায় না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে বাসায় ডেকে নেয়। সেখানে তাকে আটকে রেখে দিনভর ধর্ষণ করে তুফান।
স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ লোকমুখে জানতে পারেন শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন। শুক্রবার বিকালে স্ত্রী আশা খাতুন, তার বড় বোন নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমী বেগম ওই কিশোরীর বাড়ি যান। তারা ধর্ষনের ঘটনার বিচার করে দেয়ার কথা বলে ধর্ষিতা ও তার মা কে বাদুড়তলাস্থ পৌর কাউন্সিলর রুমকীর বাবার বাড়ীতে নিয়ে আসে।
সেখানে বিচারের নামে ধর্ষিতাকে পতিতা আখ্যায়িত করে এবং মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর উল্টো অভিযোগ আনা হয় ধর্ষিতার মায়ের নামে। এরপর তুফান সরকারের কয়েকজন সহযোগি নিয়ে লাঠি পেটা করে মা ও মেয়েকে ।
এর
পর তাদের উপর চালানো হয় মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দার নির্যাতন। কয়েক ঘন্টা আটকে রেখে নির্যাতনের এক পর্যায়ে মাকে আটকে রেখে ওই বাড়ীর একটি ঘড়ের মধ্য গ্রেপ্তারকৃত রুপম, দিপু, আতিক সহ অপর এক যুবক ওই কিশোরীর উপর আবারো গনধর্ষন চালায় । তারা এতেও তারা ক্ষ্যন্ত না হয়ে মা ও মেয়ের মাথার চুল কেটে নেয় তারা। তাতেও তাদের মন না ভরায় এক পর্যায়ে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন কাউন্সিরর রুমকি নির্দেশে নাপিত ডেকে তাদের মাথা ন্যাড়া করে বাড়ী পাঠানোর সময় বগুড়া ত্যাগ করতে এসিড মারার হুমকিও দেয়। এমনকি মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে বাড়িতে পিকআপ ভ্যানও পাঠায়। পরে প্রতিবেশীরা ঘটনা জানতে পেরে মা-মেয়েকে হাসপাতালে পাঠায় ও ঘটনা পুলিশকে অবহিত করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ রাতের মধ্যেই তুফান সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরা চারজন ধর্ষণ ও নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।