কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী কাঁদালেন সবাইকে
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৮ই আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার
| বিকাল ০৩:২২
রাজনীতি
ই-বার্তা ।। দেশের ক্রান্তিকালে যখন কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার পড়তো, তখন আমার মা আব্বাকে সাহায্য করতেন। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মা আব্বাকে সবকিছু থেকে কিছুক্ষণের জন্য আলাদা করে রাখতেন।
বলতেন- ১৫ মিনিট শুয়ে রেস্ট নাও। অনেকে অনেক কথা বলবে, কিন্তু তোমাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। গোটা দেশ তোমার দিকে তাকিয়ে। তোমার মনে যে কথাটা আসবে সেই কথাটাই বলবে। এভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশ ও জাতি গঠনে গরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সময় উদ্বুদ্ধ করতেন শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
দেশের জন্য মায়ের ত্যাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাসায় ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হতো। ৬ দফা না ৮ দফা হবে সেটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দিনের পর দিন মিটিং চলতো। শেখ হাসিনা বলেন, মা আমাকে মাঝে মধ্যে বলতেন কি আলোচনা হচ্ছে খেয়াল রাখতে। নেতারা বলতেন- ৬ দফা দিয়ে কি হবে, ৮ দফা হলে সব চাহিদা পূরণ হবে। আমার সঙ্গেও অনেক নেতার কথা হতো। বলতো তুমি কিছু বোঝ না, ৬ দফা না, ৮ দফা হলে সুবিধা হবে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাসায় এতো মানুষের রান্না মা করতেন। তখন তো ডেকোরেটর ছিলো না। আমরা প্লেট, গ্লাস মেজে দিয়েছি।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘাতকের দল যেভাবে আমার মায়ের উপর গুলি চালিয়েছে, সেটা কখনো ভাবতে পারিনি। আমার মনে হয়, ঘাতকের দল জানতো এদেশের স্বাধীনতার পেছনে আমার মায়ের অবদান।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ স্মরণসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার অশ্রুসিক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এসময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।