বন্দি থাকতে হবে জানলে মামলা করতাম না
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৯ই আগস্ট ২০১৭, বুধবার
| বিকাল ০৩:২২
অপরাধ
ই-বার্তা প্রতিবেদক।। বগুড়ায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই কলেজ ছাত্রী ও তাঁর মায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁদেরকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। মে আছেন রাজশাহীর সেফহোমে এবং মা রয়েছেন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। এক কথায় মা ও মেয়েকে এক রকম বন্দি হতে হয়েছে। নিরাপত্তার নামে নিজের এই বন্দি দশা দেখে মা তো বলেই বসলেন, আগে জানলে মামলাই করতাম না।
নিরাপত্তা তাঁরা চেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বন্দি দশা চাননি। একটি আতঙ্কমুক্ত জীবনই এখনই এই মা-মেয়ের চাওয়া। তাঁরা যেন স্বাভাবিক মানুষের মত বাকি জীবন কাটাতে পারেন এবং নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারেন এই আবেদন নির্যাতিতার মায়ের। নিজের একমাত্র মেয়ের পড়াশুনাও নিশ্চিত করতে চান তিনি।
ধর্ষিতা ও নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী এবং তার মা এখন সুস্থ। তবে তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা কে দিবে? কারণ নিজ এলাকায় গেলে তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় গত ৭ আগস্ট আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্যাতিত ছাত্রীকে রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি সেফহোমে এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া শেষ খবর পাওয়া অবধি ছাত্রী নির্যাতনের প্রধান আসামী তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশার বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ তুফানের সহযোগীরা জেলহাজতে রয়েছে।
গত ১৭ জুলাই কলেজে ভর্তি করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তুফান সরকার। এরপর ২৮ জুলাই দুপুরে ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর রুমকি ও তার সহযোগীরা বিচারের নামে ওই ছাত্রী ও তার মাকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে মারপিট করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়।
আগের খবর কেটে ফেলতে হলো শাহীনের হাত
পরবর্তী খবর আত্নহত্যা করেছেলিন রাউধা