ইমরান এইচ সরকারের ওপর আবারও হামলা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৯শে আগস্ট ২০১৭, শনিবার
| দুপুর ০২:১৩
রাজনীতি
ই-বার্তা ।। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের ওপর আবারও হামলা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রধান ফটকের সামনে একদল দুর্বৃত্ত এ হামলা করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের একটি দল তার ওপর হামলা করেছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকলেও তাতে বাধা দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদারের দাবিতে শাহবাগে মানববন্ধন শেষে তার ওপর হামলা করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ৪টায় শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ। কিন্তু পুলিশ সেই কর্মসূচিতে বাধা দেয় ও মাইক থানায় নিয়ে যায়।
এসময় ইমরান এইচ সরকার মঞ্চের কর্মীদের নিয়ে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। আধাঘণ্টা পর ইমরান সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা ও আগের দিনের হামলা নিয়ে কথা বলেন।
পরে কর্মসূচি পালন করতে না পেরে ইমরানসহ ১০-১২ জন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী হেঁটে পরিবাগের দিকে যাচ্ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে ১৫-২০ জন লোক হঠাৎ তাদের ওপর হামলা করে। রাস্তার পাশে একটি দোকান থেকে পেয়ারা নিয়ে তাদের দিকে ছুঁড়তে থাকে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পরে ইমরান এইচ সরকারসহ তার সঙ্গীরা দৌড়ে মেডিকেলের ভেতরে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দিকে নিয়ে যায়।
ইমরান এইচ সরকার জানান, হামলাকারীদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। তারা ইটপাটকেল ছুঁড়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। হামলাকারদের কাউকে চিনতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করেছিল। তারা হুমকি দিয়েছিল যেখানে আমাকে পাবে, টুকরো টুকরো করা হবে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তার ওপর হামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, গতকালের হামলার পর আজ প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য আমরা ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছি। তবুও যে ধরনের হামলা হলো তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজন। গতকালের হামলার পর আজকের প্রতিবাদ সমাবেশে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর যে বাধা, তাতে তারা প্রমাণ করলো এই হামলায় সরকারের মদদ রয়েছে।