প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা ফের একসঙ্গে


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৪শে আগস্ট ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | রাত ০১:৫৪ সিনেমা

ই-বার্তা।। তারা আর প্রাক্তন নন। প্রসেনজিৎ,ঋতুপর্ণা। প্রাক্তন মুক্তি পাওয়ার ঠিক এক বছর তিন মাস বাদে আবার তারা জুটি হিসেবে ফিরে আসছেন দৃষ্টিকোণ ছবিতে। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুধু এই জুটিরই নয়, আলাদাভাবে ধরলে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণারও প্রথম ছবি।
এর আগে প্রকাশ্যে একাধিক অনুষ্ঠানে কৌশিকের উপস্থিতিতেই প্রসেনজিৎ বলেছেন,আমাকে তো অভিনেতা হিসেবে মনে করে না কে জি (‌কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়)‌,তাই আমাকে ছবিতে নেয় না!‌

এমনকি মঙ্গলবার পার্ক স্ট্রিটের সুবিখ্যাত ফ্লুরিজ-‌এ এই ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময়েও কৌশিককে বাপাশে রেখেই প্রসেনজিৎ বললেন,আবিরদের অভিনেতা মনে করে কে জি, আমাকে মনে করত না বলেই এত দিন নেয়নি!‌ এখন অভিনেতা বলে বোধহয় মনে হয়েছে,তাই নিচ্ছে। পাশে বসে লজ্জায় জিভ কাটলেন কৌশিক।

২০১৬-‌র সবচেয়ে বড় হিট প্রসেনজিৎ,ঋতুপর্ণার প্রাক্তন। ১৪ বছরের নির্বাসন ভেঙে এই জুটিকে বড়পর্দায় ফিরিয়ে এনেছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালক জুটি। এ বছর আবার সেই জুটিকে নিয়ে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি দৃষ্টিকোণ। প্রযোজক সুরিন্দর ফিল্মস,যাদের ৫০তম ছবি হতে যাচ্ছে এই জুটিকে নিয়ে। ঘটনাচক্রে ২০০১-‌এ যে ছবির (‌জামাইবাবু জিন্দাবাদ)‌ পর এই জুটি ভেঙে গিয়েছিল,সেই ছবির প্রযোজকও ছিল সুরিন্দর ফিল্মস। পরিচালক বললেন, এই ছবি এই জুটির এক অর্থে কামব্যাক প্রযোজকদের ঘরে।

দৃস্টিকোণ ছবিতে এক বিখ্যাত আইনজীবীর চরিত্রে থাকছেন প্রসেনজিৎ। তার কাছে একটা মামলা নিয়ে আসেন ঋতুপর্ণা। প্রসেনজিতের চরিত্রের নাম ডা.‌ মিত্র। তার ক্লায়েন্ট বা মক্কেল ঋতুপর্ণার নাম মিসেস সেন। আপাতত নামধাম নিয়ে এইটুকুই খোলসা করলেন পরিচালক,আনুষ্ঠানিক ঘোষণায়।

ঋতুপর্ণা বললেন,এক অসাধারণ প্রেমের গল্প এটি দর্শকরা যে আমাদের জুটির জন্যে অপেক্ষায় ছিলেন,সেটা আমরা প্রাক্তন-এর পর তাদের ভালবাসা থেকে বুঝতে পেরেছি। আবার আমরা ফিরছি দর্শকদের ভালবাসার জন্যে। এবং অবশ্যই কৃতজ্ঞতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে,এমন একটা সুন্দর গল্প আমাদের জন্যে ভেবেছেন বলে।

কৌশিক পরিষ্কার জানালেন,সৃজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রসেনজিৎকে নানাভাবে যেমন ব্যবহার করেছেন এবং রাজকাহিনী–তে ঋতুপর্ণাকে,তার পর অন্যরকম কিছু চরিত্র ছাড়া বুম্বাদা বা ঋতুপর্ণাকে ভাবা সম্ভব নয়। তার জন্যেই এত দিনের অপেক্ষা। আসলে কাছাকাছি আসতে তো সময় লাগে। রাস্তায় ভয়ানক জ্যামও থাকে—তির্যক ভঙ্গিতে জানান কৌশিক।

এ ছবিতে প্রসেনজিতের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়,যিনি বাস্তব জীবনে কৌশিকের স্ত্রী। এই ছবিতে প্রসেনজিৎ,ঋতুপর্ণার পাশাপাশি চূর্ণীর চরিত্রও গল্পে অন্য মাত্রা আনবে। প্রসেনজিৎ যেমন বললেন,নারী–পুরুষের সম্পর্ক তো একমাত্রিক নয়। নানান স্তর থাকে। নানান মাত্রা থাকে। সমস্ত সম্পর্ক স্ত্রী বা প্রেমিকাতেই শেষ হয় না।

প্রসেনজিতের কথার রেশ টেনে পরিচালক বললেন,বিচিত্র দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই জীবন। মন ও পেশাদারিত্বের টানাপোড়েন ছায়া ফেলে জীবনে। আমাদের দেখার দৃষ্টিটা কেমন,সেদিকেই আলো ফেলবে দৃষ্টিকোণ।

প্রসেনজিৎ,ঋতুপর্ণাকে দুপাশে রেখে পরিচালক জানালেন, পুজোর পরে অক্টোবরেই শুটিং শুরু। নভেম্বরে শেষ। মূলত কলকাতাতেই শুটিং। এবং অনেক দিন পরে আবার সেই বাংলা ছবির চিরকালীন আউটডোর পুরীতে শুটিং হবে ছবির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের।

এবং পরিচালকের সঙ্গে একান্তে কথা বলে জানা গেল,এই ছবিতে এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন সেই অভিনেতা, বিসর্জন-এর পর যার অভিনয়–খ্যাতি আপাতত তুঙ্গে। প্রসেনজিতের সঙ্গে তার কোনও দৃশ্য নেই। ঋতুপর্ণার সঙ্গে আছে। কারণ এ ছবিতে তিনি ঋতুপর্ণা তথা মিসেস সেনের ভাসুর। ওই অভিনেতার নাম,লেখাই বাহুল্য, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।‌‌‌

সর্বশেষ সংবাদ

সিনেমা এর আরও সংবাদ