মিনি কক্সবাজারে একদিন
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৮ই এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
| বিকাল ০৩:১৮
ছবি
আফিফা মোহসিনা অরণি।।
পদ্মা নদীর বিস্তৃতির কথা কে না জানে? যে নদীকে ঘিরে লেখা হয়েছে অসংখ্য গান, কবিতা, উপন্যাস। এমনকি নাটক, সিনেমাতেও বাদ পড়েনি এই নদী। সেই পদ্মা নদীর তীর আজ হয়ে উঠেছে ঢাকাবাসীর প্রিয়জনের সাথে ছুটি কাটানোর এক অন্যতম স্থান। বলছি দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটের কথা। পদ্মা নদীর বয়ে যাওয়া এই স্থানটিতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় জমায়। কেউ পরিবার নিয়ে আবার কেউ বন্ধুদের নিয়ে খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারে এই মনোরম জায়গাটি।
ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনেই বেড়িয়ে আসা যায় মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটে। রূপে-গুনে কখনো কখনো কক্সবাজারকেও হার মানিয়ে দেয় এই জায়গা। মৈনটে ঢুকতেই পিচ ঢালা রাস্তা হঠাৎ করে শেষ হয়ে কোত্থেকে যেন হুট করে অন্য জগত শুরু হয়। ঠিক নদী নাকি সমুদ্র দেখছেন তা বোঝার আগেই পশ্চিমের বাতাস ভাসিয়ে নিবে আপনাকে। আকাশে যেন নীলের দল খেলায় মেতেছে। পুরো চিত্রটাকে আপনার মনে হবে শিল্পির তুলির আচড়ে আঁকা একটা ক্যানভাস! আরও চোখে পরবে সুবিশাল বালুরাশি,সেই সাথে নদীর ধারে গড়ে ওঠা ছোট ছোট দোকান এবং জীবিকার টানে বেঁচে থাকা সংগ্রামী মাঝিদের কর্ম ব্যস্ততা।এক ধারে বিশাল স্টিমার ও স্পীড বোর্টের সারি,অন্য দিকে হাটু সমান পানিতে নেমে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। এই সৌন্দর্য হৃদয় দিয়ে অনুভব করার জন্য অবশ্যই সেখানে যেতে হবে। ঘাটের উপরেই রয়েছে অনেকগুলো খাবারের হোটেল। সেখানে পদ্মার ইলিশ খাওয়ার জন্য ছুটে যায় অসংখ্য ইলিশ প্রেমী।
ঘাটে থাকা বড় বোটে করে নদীর ভেতরে যাওয়া যায়। সেখানে রয়েছে একটি ভেসে ওঠা বালুচর। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের সাথে বড়রাও নদীতে নামার ইচ্ছা দমন করতে পারেনা সেখানে । স্বচ্ছ পানিতে খেলা করা রোদ সকলের মন ভাল করে দিতে বাধ্য। সবশেষে নদীর বুকে অপূর্ব সূর্যাস্ত দেখলেই পূর্ণতা আসবে ছুটির দিনটির।ঢাকার যান্ত্রিক জীবন থেকে ছুটি নিয়ে একদিন ঘুরেই আসুন না মৈনট ঘাট নামক এই মিনি কক্সবাজারে।
[মৈনটে সূর্যাস্তের ছবি তুলেছেন- ইনতিয়াজ বিন খন্দকার]