ই-বার্তা।। কোরবানির ঈদে হঠাৎ করে পোলাও, বিরিয়ানি, আর অনেক অনেক মাংস এইসব ভারী খাবার খাওয়ায় বাড়তি পাওনা হিসেবে যোগ দেয় প্রচুর গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা। তাই বলে তো ঈদের খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়। খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি যদি গ্যাস্ট্রিক থেকে রক্ষা পাওয়ার ঘরোয়া কিছু নিয়ম পালন করেন তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আপনার ঈদের আনন্দকে মাটি করতে পারবে না। আর ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে না যখন তখন। চলুন জেনে নিই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া উপায়।

১। দারুচিনি ও লবঙ্গ
দারুচিনি হজমশক্তির জন্য অনেক ভাল একটি মশলা। এটি প্রাকৃতিক এনটাসিড হিসাবে কাজ করে থাকে এবং পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। আবার লবঙ্গ অম্লতা দূর করে। এক কাপ পানিতে আধা চাচামচ দারুদিনি গুঁড়া ও কয়েকটি লবঙ্গ মিশিয়ে কয়েক মিনিট সিদ্ধ করুন। এটি দিনে ২/৩ বার পান করুন। চাইলে স্যুপ বা সালাদের সাথেও দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন।

২। পুদিনা পাতা।
পুদিনা পাতা আপনার অম্লতা, গ্যাস ও বমি বমি ভাব থেকে সাথে সাথে মুক্তি দেবে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা যখন অল্প তখন থেকে অল্প কিছু পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে ভাল করে চিবুতে থাকুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ব্যাথা অনেকটা কমে গেছে। এছাড়া এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন। এটি দিনে ২/৩ বার পান করুন। স্বাদ বাড়াতে এতে মধু যোগ করতে পারেন।

৩। আদা
পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য একটি উপকারি উপাদান হিসেবে ‘আদা’ অত্যন্ত কার্যকরী। এটি বদ হজমও দূর করে থাকে। প্রতিদিন খাবার পর এক টুকরা আদা চিবিয়ে খেলে পেটে আর গ্যাসের সম্যসা করবে না। এছাড়া আদা চা অথবা আদা পানি পান করলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।

৪। রসুন
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য রসুন খুবই কার্যকরী উপাদান। রসুন, কালো মরিচের বীজ, ধনিয়ার বীজ এবং জিরার বীজ একসাথে মিশিয়ে কয়েক মিনিট উত্তাপে ফুটিয়ে সিদ্ধ করতে হবে, সিদ্ধ করার পর এই মিশ্রন থেকে যে নির্যাস বের হবে সেটা ছেঁকে আলাদা করে সাধারণ তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে দিনে দুই বার পান করতে হবে।

৫। ভেষজ চা
পুদিনা পাতা,ক্যামোমিল,রাসবেরি এবং ব্ল্যাকবেরি একসাথে মিশিয়ে তৈরী কর়া ভেষজ চা হজম প্রক্রিয়া অনেকবেশি সাহায্য করে ,আর হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।

৬। প্রচুর পরিমাণে পানি পান
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি শুধু আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা কমাবে না আরো অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

৭। আলু
আলু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে।খাবার আগে তিন বেলা আলু থেকে রস বের করে খেতে হবে এবং এতে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।