আরোও ৪ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার, এ নিয়ে লাশের সংখ্যা ৫৮


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৩রা সেপ্টেম্বর ২০১৭, রবিবার  | দুপুর ০২:৪৬ চট্টগ্রাম

ই-বার্তা ।। কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত এলাকা থেকে এক দম্পতিসহ আরও ৪ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার গভীর রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর হোয়াইক্যং পয়েন্ট ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে গত চার দিনে ৫৮ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হলো।

বিজিবির কক্সবাজার-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, শনিবার গভীর রাতে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী পয়েন্টে শূন্যরেখার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুইটি গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবি গিয়ে তা উদ্ধার করে।

লাশ সীমান্তের জলপাইতলীতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মৃতরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার মংডু থানার ঢেঁকিবুনিয়া এলাকার মো.জাফরুল্লাহ ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগম।

ওই এলাকা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা আবুল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে সহায় সম্পদ ফেলে গত দুইদিন আগে ঘুমধুম সীমান্ত পেরিয়ে জাফরুল্লাহসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

ফেলে আসা সহায়-সম্পদ আনতে শনিবার তারা ঘুমধুমের জলপাইতলী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার যান। তারা ঢেঁকিবুনিয়ায় পৌঁছার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের গুলি করে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তারা বাংলাদেশের দিকে রওনা দেন। এক পর্যায়ে ঘুমধুমের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় মিয়ানমার অভ্যন্তরে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।

এদিকে শনিবার রাতে নাফ নদীর থেকে ভাসমান অবস্থায় দুই রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি মো.মাইনুদ্দিন খান জানান, রাতে স্থানীয়রা লাশগুলো দেখে খানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে। লাশে সামান্য পঁচন ধরেছে। নিহতদের পরনে স্থানীয় বার্মিজ পোশাক ছিল। লাশগুলো স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে শনিবার সকালে নাফ নদীর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্ট থেকে একজন ও রাতে হোয়াইক্যং পয়েন্ট দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া গত বুধবার ৪ জন, বৃহস্পতিবার ১৯ জন ও শুক্রবার ২৬ জন রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলার কথা বলে সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে সেনা ও পুলিশ। নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।

তাদের শত শত ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করছে। আর নদী পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারাচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম এর আরও সংবাদ