মাহফুজুর রহমানের গানে ৫ ইতিবাচক দিক - তসলিমা নাসরিন
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৭, শনিবার
| সন্ধ্যা ০৬:২৫
ছোট পর্দা
ই-বার্তা।। ঈদের তৃতীয় দিন রাত সাড়ে ১০টায় এটিএন বাংলায় প্রচারিত ড. মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান স্মৃতির আল্পনা আঁকি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারের আগে পরে এনিয়ে কথা হয়েছে বেশ। অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এমন উদ্যোগকে। অনুষ্ঠানটি নিয়ে কথা বলেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে ওই অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলেন তিনি। মাহফুজুর রহমানের অনুষ্ঠানটির পাঁচটি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন তিনি। সেগুলো হলো:
১। কোটিপতিরা টাকা কামানোর ধান্দায় থাকে। মদ আর মেয়েমানুষ নিয়ে প্রমোদ তরী ভাসায়। দুর্নীতি দুষ্কর্ম এত করে যে পাবলিকের সামনে পারতপক্ষে আসে না। তাদের গান গাওয়ার শখ টখ থাকে না। এই লোকটি শিল্প সাহিত্যে মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন। ইনি আর সব কোটিপতির চেয়ে ভিন্ন।
২। গানের কথাগুলো সবই কোনও নারীকে নিয়ে, যাকে তিনি খুব ভালোবাসেন। তার সব গানই ভালোবাসা আর বিরহের গান। কোনও নারীকে খুব মিস করছেন, ফিরে আসতে বলছেন। যাকে ছাড়া তার কিছু ভালো লাগছে না। সেই নারীর সঙ্গে ছিল তার সুখের জীবন। সেই সুখের জীবন এখন আর নেই তার।
ফিলদি ধনীরা সাধারণত এমন স্বীকারোক্তি করে না। তাদের এক গেলে আরেক আসে। কারো জন্য তারা কাঁদে না। এই লোকটি ভিন্ন। লোকটি প্রেমিক। হয়তো আউটডেটেড প্রেমিক কিন্তু প্রেমিক। উদার। সংবেদনশীল।
৩। ধনীদের অনেক রকম স্বপ্ন বা সংকল্প থাকে। কোনও প্রাসাদ বা কোনও জাহাজ বা কোনও ক্যাসিনো কিনে ফেলা। বা বিশাল কোনও জুয়োয় জিতে যাওয়া বা কাউকে ঠকানো, বা কোনও জাতশত্রুকে খুন করা। কিন্ত এই লোকটি ওসব কিছু চাইছেন না, তার নিজের চ্যানেলে একটু গান গাইতে চেয়েছেন, এই যা।
৪। লোকটি ভাল গান গাইতে পারেন না বলে সুটিং বা এডিটিং-এর সময় তার কর্মচারীরা নিশ্চয়ই তুমুল হেসেছে। তিনি তাদের হাসির শব্দ শুনতে পাননি। তাকে নিশ্চয়ই মিথ্যে প্রশংসা করে বোকা বানানো হয়েছে। এত প্রতাপশালী হয়েও মানুষ যে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে তা বুঝতে পারছেন না। বড় সরল সোজা তিনি, বড় সাদাসিধে।
৫। গান গাইতে জানেন না, তারপরও আবেগ তার এত বেশি যে, গান গাওয়া শিখে তারপর গাইবেন, তর সইলো না। গেয়ে দিলেন। একটুও ভাব্লেন না লোকে যে মন্দ বলবে। এর মানে তাঁর ইমোশান মাত্রাছাড়া। এত ইমোশান ফিলদি ধনীদের সাধারণত থাকে না। তারা বুঝে শুনে চিন্তা ভাবনা করে প্রতিটা স্টেপ ফেলে।
আগের খবর জুয়েলারি পরতে পছন্দ করিঃ আন্নি খান
পরবর্তী খবর জাদুঘরে ভুবন মাঝি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী আজ