ট্যাম্পাকো ট্র্যাজেডির এক বছর আজ
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৭, রবিবার
| দুপুর ০২:৫৭
দুর্ঘটনা
ই-বার্তা ।। গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া টঙ্গীর বিসিক এলাকায় ট্যাম্পাকো ফয়েসল লি. কারখানা ট্র্যাজেডির এক বছর আজ। ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনায় কেড়ে নেয় অর্ধশত শ্রমিকের প্রাণ। টঙ্গী তথা গাজীপুরে এটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে বিসিক এলাকায় ট্যাম্পাকো প্যাকেজিং কারখানার গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কারখানার ৫ তলা ভবনসহ অধিকাংশ অবকাঠামো ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আগুনে পুড়ে ও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিহত হন ৪২ জন ও আহত হন প্রায় ৭৫ জন।
আহতদের মধ্যে অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। ঢামেক হাসপাতাল মর্গে ডিএনএ টেস্টের জন্য নেয়া ট্যাম্পাকোর ৯ লাশের মধ্যে ৪ লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ট্যাম্পাকো কারখানা দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের ওয়ারিশকে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়। নিহত ৪২ জনের মধ্যে ৩২ জনকে এবং আহতদের মধ্যে ৪০ জনকে এ অনুদান দেয়া হয়েছে।
ফলে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবার ৪ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন। এছাড়া টঙ্গী
বিসিক মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে নগদ ২৭ হাজার টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ১১ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিহত পথচারী পোশাক শ্রমিক আসমার পরিবারকে দেয়া হয় আরও নগদ ৫০ হাজার টাকা।
অপরদিকে গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
একই দিন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল নিখোঁজ শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন।
নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু আজ : দুর্ঘটনার এক বছরের মাথায় ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করে ট্যাম্পাকো আবারও উঠে দাঁড়াচ্ছে।
৯ আগস্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ থেকে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ৩ মাসের মধ্যে স্টিলের অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে এবং এ বছরই পুনরায় উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষের। দুর্ঘটনার পর গত এক বছর ধরে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিয়ে যাচ্ছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, আধুনিক প্রযুক্তির এ কারখানাটি হবে একটি গ্রিন ফ্যাক্টরি।
পরবর্তী খবর শরীয়তপুরে লঞ্চডুবি